উৎসবের মাসে বর্ধমান শহরকে জঞ্জাল মুক্ত করার ডাক।

লুতুব আলি, বর্ধমান, নতুন গতি : উৎসবের মাসে বর্ধমান শহরকে জঞ্জাল মুক্ত করার ডাক। শারদীয়া দুর্গাপূজার অব্যবহিত পর দিওয়ালি হাজির। এই উৎসবের মাসে বিভিন্ন ক্লাবের পূজো মণ্ডপ গুলিতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। পুজোকে কেন্দ্র করে ক্লাব গুলির প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ধরনের স্টল ও বিভিন্ন ধরনের দোকান বসে। এর ফলে ক্লাবগুলির পূজা মন্ডপের প্রাঙ্গণে আবর্জনা দেখা যায়। এছাড়াও বর্ধমান শহরের বিভিন্ন বাজার, বর্ধমান রেলওয়ে স্টেশন এবং বিভিন্ন জনবহুল রাস্তায় একই ছবি দেখা যায়। জঞ্জাল মুক্ত করার অভিযানে নেমেছে বর্ধমানের অগ্রজ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বর্ধমান সহযোদ্ধা ও বর্ধমান নেহেরু যুব কেন্দ্র। যুব কার্যক্রম এবং ক্রীড়া মন্ত্রক, ভারত সরকারের উদ্যোগে দিস দিওয়ালি উইথ মাই ভারত-এই দিওয়ালি আমার ভারতের সঙ্গে এই কার্যক্রমের অন্তর্গত বর্ধমান সহযোদ্ধার দ্বারা সাধারণ মানুষকে পরিবেশ সচেতন করার জন্য একটি অভিযানের আয়োজন করা হয়। এই সকাল অভিযানে অংশগ্রহণ করেন বর্ধমান সহযোদ্ধার অন্যতম কর্ণধার প্রীতিলতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই সংস্থার অন্যতম সদস্য সৌমিত্র হাজরা, বিশ্বজিৎ মল্লিক, বর্ধমান পৌরসভার 30 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সনদ বক্সী, ফায়ার বিগ্রেডের আধিকারিক দীপকচন্দ্র সেন সহ পুজো উদ্যোক্তারা। বর্ধমান সহযোদ্ধার পক্ষ থেকে ফৌজদারী কালী মন্দির, জাগরণী সংঘ, শাঁখারী পুকুর সহ ছয় মুখ্য জায়গায় পুজো প্যান্ডেলের সামনে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয় এবং স্বচ্ছতার অভিযান চালানো হয়। সমাজ ও পরিবেশকে স্বচ্ছ রাখতে এই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে বলে বর্ধমান সহযোদ্ধার পক্ষ থেকে জানানো হয়। এই কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেবনাথ মুখার্জী, পঙ্কজ সাউ, যমুনা চ্যাটার্জি প্রমুখ।