|
---|
আবদুস সামাদ, নতুন গতি, মুর্শিদাবাদ : আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যত্,শিক্ষায় জাতির মেরুদন্ড,যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি ততো উন্নত। সমগ্র পৃথিবীটা লন্ডভন্ড করে দিলো করুনা নামক মারণ ভাইরাস। সমগ্র দেশের পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, বন্ধ হয়েছে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া ও পঠন পাথন। এই নিয়ে UUPTWA শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ হইতে বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন শুরু করার দাবিতে। জঙ্গীপুরে একটি মৌন মিছিল করেন,আজকের এই মিছিল থেকে জানান সর্ব প্রকার কাজ নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রতিনিয়ত হতেই আছে। কিন্তূ প্রশ্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ কেনো?এতি মধ্যেই রাজ্য সরকার ঘোষণা দিয়েছেন আগামী ১৬ ই নভেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে, উল্লেখ্ করা হয়েছে নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত। কিন্তূ প্রশ্ন প্রাইমারি পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কি অবস্থা হবে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত্ কোথায়?তাই সর্ব শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পঠন পাঠন ও স্কুল ছুট দের স্কুল মুখী করার উদ্যোগ নেওয়ার বার্তা দেন রাজ্য সরকার কে।২০২০ ১৬ ই মার্চ থেকে রাজ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর। 16 ই নভেম্বর ফের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে বলে জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কুলের নবম দশম একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে স্কুল শুরু হবে। এই মারণ করুণা ভাইরাস কত হাত থেকে বই কেরে নিয়ে তাদের কাজের জগতে প্রবেশ করিয়েছে তা বলা সত্যি অসম্ভব। ফলে স্কুলছুট বাড়ার পাশাপাশি শিশুশ্রম ও বৃদ্ধির প্রবল সম্ভাবনা। দীর্ঘ ২০ মাস স্কুল বন্ধ থাকায় ও পরিবারের আয় তার পরে শিশুশ্রম বেড়েছে উদ্বেগজনকভাবে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে 16 ই নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খুললেও শ্রমিক নিযুক্ত ছেলেমেয়েদের কতজন উপার্জন বন্ধ করে স্কুলের আঙিনায় পা রাখে এখন এটাই দেখার?তাছাড়া গ্রাম মফস্বলে বহু ছাত্র-ছাত্রী স্মার্টফোনের অভাবে নিয়ম করে ক্লাস করতে পারেনি? শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আসা নিয়ে অনলাইন পঠন-পাঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা। দেশের শিক্ষায় গ্রাম ও শহরের বৈষম্য ছিল প্রকট।সেই বৈষম্য করুনার কারণে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে যার ফলে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী যে, আরো ও পিছিয়ে পড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা তাই বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে এই বৈষম্য কমানো সরকারের কাছে একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ।