বিশ্বভারতীর আদলে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্ত উৎসব

সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে একের পর এক ঘটনা ক্রমে বিক্ষোভ, আন্দোলন,ঘেরাও, অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত।কখনো শান্তিনিকেতনের মেলা চালুর দাবি,কখনো হস্টেল খোলা থেকে শুরু করে পরীক্ষার সময় পিছিয়ে দেওয়া বা অনলাইনে পরীক্ষার দাবি ইত্যাদির পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন চলছে।

    সম্প্রতি হস্টেল খোলা,অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে পড়ুয়াদের যে বিক্ষোভ অবস্থান ঘেরাও কর্মসূচি তা আজ ১৮ দিনে পদার্পন করল।শান্তিনিকেতনের যে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা তা করোনা পরিস্থিতির জন্য বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এবছর করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও পৌষমেলার ব্যপারে কতৃপক্ষ কোন সদর্থক ভূমিকা পালন করেন নি বলে প্রাপ্তনী, আশ্রমিক থেকে শুরু করে পৌরসভা সহ স্থানীয় বাসিন্দা,ব্যবসায়ী, বাউল সম্প্রদায় সকলেই উপচার্যের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

    বিশ্বভারতীর বিকল্প হিসেবে পৌষমেলা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যাহা বোলপুর পৌরসভার সহযোগিতায় ডাকবাংলো মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব ঘিরে ও দেশ বিদেশের বহু মানুষের সমাগম ঘটে কিন্তু সেই উৎসব ও বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে বন্ধের নির্দেশ।এবার ফের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে যেমন বৃক্ষরোপণ উৎসব পালিত হয়,অনুরূপ ভাবে এবারেই প্রথম বসন্ত উৎসব ও অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ে। শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব না হলেও বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত উৎসব ঘিরে ছিল ব্যপক উন্মাদনা। বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র সংগীত বসন্ত গানের মধ্য দিয়ে ঋতুর আবাহন করা হয়।উল্লেখ্য বোলপুর সংলগ্ন শিবপুর মৌজায় গড়ে উঠেছে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষত এখানকার পড়ুয়ারা বিশ্বভারতীর আদলেই বসন্ত উৎসব এর আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির ক্ষেত্রে পঠন-পাঠন থেকে সাংস্কৃতিক পরিষর জুড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তন অন্যতম পাথেয় হবে বলে একাধিক বার জানান হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত উৎসবের আয়োজনে স্বভাবতই খুশি সকলেই।

    বোলপুর পৌরসভার কমবেশি ২২টি ওয়ার্ডেই চলছে বসন্ত উৎসব পালনের তোড়জোড়।শুক্রবার সকাল থেকে শোভাযাত্রা, সহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে বলে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানা যায়।