|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : গত বাইশে আগস্ট সোমবার দুপুর নাগাদ ধারে মদ না পাওয়ায় সটাং মদের দোকানে ঢুকে দোকানের ম্যানেজারের ঘাড়ে কাটারির কোপ মেরে আহত করেছিলেন এক ব্যক্তি। এই হাড়হিম করা দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী হয়েছিল মদের দোকানে লাগানো সিসিটিভি ফুটেছে। সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল বেলিয়াতোড় থানার অন্তর্গত বৃন্দাবনপুর গ্রাম সহ আশেপাশের গ্রামগুলিতে। বৃন্দাবনপুর গ্রামের মধ্যে থাকা ওই মদের দোকান চলায় গ্রামবাসীরা মোটেও নিরাপদ নয় এই দাবি তুলে বৃহস্পতিবার হাতে প্লেকার্ড নিয়ে মদের দোকানে তালা ঝোলালেন গ্রামবাসীরা।
প্রসঙ্গত লাইসেন্স প্রাপ্ত বৃন্দাবনপুর সিএস নামে ওই মদের দোকানের ম্যানেজার শীতল ঘোষ দোকানের ভিতরে বসে ছিলেন। হটাৎ সাগরকাটা গ্রামের বাসিন্দা প্রবীর মন্ডল ওই মদের দোকানে প্রবেশ করেন। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই শীতল ঘোষ নামে ওই মদ দোকানে বসে থাকা ম্যানেজারের ঘাড়ে কাটারির কোপ মারে অভিযুক্ত। তারপরই ঘটনস্থল থেকে চম্পট দেন প্রবীর মন্ডল নামে ওই ব্যক্তি। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন আহত ম্যানেজার। জানা যায় আহত ওই ব্যক্তি মাথায় এবং হাতে চোট পান । এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে বেলিয়াতোড় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসকরা তাকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসার জন্য। সোমবার বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ প্রবীর মন্ডল নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে এবং তার কাছে উদ্ধার করা হয়েছে আহত করার সেই কাটারিটি। মঙ্গলবার ধৃত ওই ব্যক্তিকে বাঁকুড়া জেলা আদালতের তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।বৃহস্পতিবার বৃন্দাবনপুর গ্রামের মধ্যে থাকা মদের দোকানটি অবিলম্বে বন্ধের দাবিতে হাতে প্লেকার্ড নিয়ে সরব হলেন ওই এলাকার গ্রামের বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ।গ্রামবাসীদের দাবি এই মদের দোকানকে কেন্দ্র করেই সকাল থেকে রাত অবধি দোকানের আশেপাশে বসতো মদের আসর। তাতেই এক অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হত গ্রামের মধ্যে। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকতো। এই গ্রামের পথ দিয়ে এই গ্রামের সব সব স্কুল পড়ুয়ারা স্কুলে যায় তারা মোটেও নিরাপদ নয় এই দাবি তুলে আজ গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই ওই মদের দোকানের গেটে তালা লাগালেন।গ্রামবাসী অনাজ চৌধুরি এবং জলি ঘোষ বলেন তাদের গ্রামে মদের দোকান থাকায় গোটা এলাকা জুড়ে মদের আসর বসে প্রতিদিন। চলে বিভিন্ন অশ্লীল বাক্যলাভ। সোমবারই একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে এখানে। আপাতত ওই ব্যক্তি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছেলেমেয়েরা এই পথ দিয়েই স্কুল কলেজ যায়। তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এবং গ্রামের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য এই মদের দোকান তারা চান অন্যত্র কোথাও স্থানান্তরিত করা হোক। প্রশাসন যদি তাদের দাবি না মানে তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে।