|
---|
আজিজুর রহমান,গলসি : সহায়ক মুল্য ধান বিক্রি করতে না পারায় মিলের গেটে বিক্ষোভ দেখালেন গলসি এলাকার বেশকিছু চাষি। এদিন সকালে উচ্চগ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক চাষি মিলিত হয়ে এলাকার আরএস অগ্রো ইন্ডাস্ট্রিতে বিক্ষোভ দেখান। পাশাপাশি স্থানীয় মল্লেশর রাইস মিল সহ বেশ কিছু মিলে যান তারা। তাদের দাবী, সরকার সরকার সহায়ক মুল্য ধান নিতে চাইলেও স্থানীয় মিলগুলি তাতে সহযোগিতা করছে না। মিলগুলি প্রথম পর্যায়ের সরকারের লেবির চাল জমা না দেওয়ায় দ্বিতীয় পর্যায়ের ধান কেনা শুরু করতে পারছেনা সরকার। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ছোট বড় ও মাঝারি সকল চাষিরা। স্থানীয় চাষি ফজলুল মন্ডল, উৎপল সাঁইরা জানাই, সুকৌশলে সরকারি টাকা আটকে রেখে বাইরের ধান দিয়ে উৎপাদন চালাচ্ছে মিলগুলি। বিহার ঝাড়খন্ড থেকে লড়ি লড়ি ধান গলসির মিলগুলিতে খালি হচ্ছে প্রতিদিন। তথচ আমরা ধান বেচতে পারছি না। প্রথম কোটায় সরকারি সহায়ক মুল্যে ধান নিয়ে আর সরকারি লেবির চাল দিচ্ছে না। ফলে সরকারি দ্বিতীয় দফার ধান কিনতে পারছে না। এর ফলে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া আমাদের এলাকার চাষিরা সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নিধুরাম ঘোষ নামে আর এক চাষি বলেন, ধান না নেওয়ায় মিল মালিকরা নানা কৌশল চালিয়ে পারেনি। তাই এবার সরকারি লেবি বকেয়া রেখেছে। তথচ মিলে প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ গাড়ি ভীন রাজ্যের ধান ঢুকছে। এর ফলে বাংলার চাষিরা মার খাচ্ছে। সরকারের উচিত ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। তিনি বলেন, অকাল বৃষ্টিতে এবারও আমাদের ফলনে মার গিয়েছে। পোকাতেও বহু জমির ধান শেষ করে দিয়েছে। আবার মিল ধান নিচ্ছে না। চাষিদের দাবী, তারা যদি সরকারি সহায়ক মুল্যে ধান বিক্রি না করতে পারেন তাহলে এলাকার চাষিরা মিলিত হয়ে ব্লক জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। সকলে মিলে ভীন জেলা ও ভীন রাজ্যের ধান মিলে খালি করা বন্ধ করবেন। এদিকে সকাল থেকে বেলা গড়িয়ে গেলেও মিলে আসতে দেখা যায়নি মিল মালিকদের। ফলে তাদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।