by নতুন গতি
|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : শিস দিতে আমরা অনেকেই পছন্দ করি। সময় পেলেই ফাঁকা টাইমে অনেকেই শিস দিয়ে গানের সুর তুলি। ছোটবেলায় শিস দিতে গিয়ে বকা খেয়েছেন প্রায়ই অনেকেই। ঠিক তেমনি নদিয়ার ফুলিয়ার আশিষ মহলদারও ছোটবেলায় শিস দেওয়ার জন্য বকা খেয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও নিজের জেদ ছাড়েননি। এখন অনেকেই তাঁর দোকানে ছুটে আসেন গান শুনতে। আশিষ ছোটবেলা থেকেই মনস্থির করেন শিস দিয়ে গান করবেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। এবং তারপর থেকেই কঠোর অনুশীলন।শিস দিয়ে গান গাওয়ার জন্য এখন ভাইরাল তিঁনি। ডাক পড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। তাঁর গান শুনে মুগ্ধ আট থেকে আশি। পেশায় মুদি ব্যবসায়ী আশিষ, বৃদ্ধা মা, বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার । ছোটবেলা থেকেই মুখে শিস দিয়ে সুর তোলা , সেই থেকে আজও ওই সুর ধরে রেখেছেন এই যুবক। বাড়ি শান্তিপুর থানার ফুলিয়া জীবনানন্দ কলোনিতে । ছোটবেলায় শিস দেওয়ার জন্য কপালে জুটেছিল মার।আর সেই থেকেই মনে মনে ঠিক করে নেন,এই শিসকেই মাধ্যম করেজীবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করবেন।মনের সেই সুপ্ত বাসনার জন্যই আজ ফুলিয়ায় তার নাম ঘরে ঘরে।হ্যাঁ, ফুলিয়ার আশীষ মহলদারের শিস দিয়ে গান আজ মুগ্ধ হয়ে শোনেন সবাই। বাড়িতে গান বাজনার ঘরানা ছিলই,আর সেই গানই কিভাবে শিস দিয়ে নিখুঁত ভাবে পরিবেশন করা যায় সেই চেষ্টাই প্রতিদিন করতো কৃত্তিবাসের দেশের জীবনানন্দ কলোনীর আশীষ। এখন তিঁনি অনর্গল শিস দিয়ে গান গেয়ে যান।সে পুরোনো বাংলা গানই হোক অথবা হিন্দি কিংবা বাংলা ফোকই হোক।