|
---|
নূর আহমেদ : মেমারী ২৫ জানুয়ারি। গত ১২ ই জানুয়ারি ছিলো স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম দিন। আর ২৩ শে জানুয়ারি ছিলো দেশ বরেণ্য স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন। সারাদেশ শ্রদ্ধার সাথে স্বামী বিবেকানন্দ ও নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন পালন করে। স্বামীজীর আদর্শকে পাথেও করে এবং দেশ বরেণ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ৮০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে বেরিয়ে পড়লেন কুম্ভমেলার উদ্দেশ্যে কলকাতার বছর ৪৬ এর সঞ্জিত মজুমদার। পেশায় ব্যবসায়ী সঞ্জিত বাবু পথমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও বিহার হয়ে পৌঁছাবেন উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে। তার কথায় প্রতিদিন ভোর থেকে সূর্যাস্তের আগে পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিঃমিঃ পথ অতিক্রম করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন। এর পর পথমধ্যে রাত্রিযাপনের পর পরের দিন ভোর থেকে পুনরায় গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়া। সঞ্জিত বাবু বলেন ৮০০ কিলোমিটার পথ সাইকেলে অতিক্রম করতে তার সময় লাগবে প্রায় ১০ থেকে ১২ দিন। চলার পথে তার সাথে রয়েছে স্বামিজীর প্রতিচ্ছবি, জাতীয় পতাকা, সাইকেল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। অসুস্থতা এড়াতে খাবারের দিকেও রেখেছেন বিশেষ নজর।
তিনি আরো বলেন চলার পথে অনেক মানুষ আসছেন তার কাছে। কেউ করছেন সহায়তা কেউ আবার কুম্ভমেলায় এভাবে বেরিয়ে পড়ার কারন জানতে চাই। কেউ আবার স্বামিজীর বানি ও আদর্শ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। সঞ্জিত বাবুর কথায় নিরাস করেন নি কাউকেই। গন্তব্যে পৌঁছাতে গিয়ে যারাই এসেছেন যখন সুযোগ পাচ্ছেন তখনই স্বামীজীর বাণী ও আদর্শ মেলে ধরার চেষ্টা করছেন। কুম্ভমেলা শেষে একই ভাবে সাইকেল নিয়ে ফেরার কথাও জানান তিনি ।
প্রসঙ্গত ২৩ শে জানুয়ারি কলকাতার তিলজলা পঞ্চান্নগ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করে সিঙ্গুরের কাছে প্রথম রাত্রী যাপন করেন। রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার (গড়িয়াহাট শাখা) এর পক্ষ থেকেও বিশেষভাবে সহায়তা করা হয়।এর পর মেমারী হয়ে তিনি বর্ধমানে পৌছানোর পথে দেখা হয় বর্ধমান ‘বি’ সার্কেল ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ মন্ডল এর সাথে। সঞ্জিত বাবুর কথায় বর্ধমান ‘বি’ সার্কেল ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ মন্ডল তার ছেলে বেলার বন্ধু। ৮০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে কুম্ভমেলার কথা শুনে তিনিও উৎসাহিত করেন। তবে মেমারীর উপর দিয়ে যাওয়ার কথা শুনে বিশ্বজিৎ বাবু তাকে আমন্ত্রণ জানান। এরপর বর্ধমান ‘বি’ সার্কেল ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ মন্ডল ও মেমারী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বর্ধমান ‘বি’ সার্কেল অফিসে বিশেষ ভাবে সন্মানিত করা হয়। রাত্রি যাপন করে মেমারীতে এরপর শুরুবার সকালে তিনি পুনরায় মেমারী থেকে কুম্ভমেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।
বিশ্বজিৎ বাবুর কথায় ‘ সঞ্জিতের এমন সিদ্ধান্তে প্রথমে কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। ছেলে বেলা থেকেই সঞ্জিত স্বামীজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত। সেই সাথে ভ্রমণ প্রিয়। তবে দীর্ঘ ৮০০ কিলোমিটার পথ সাইকেলে অতিক্রম সহজ কথা নয়। স্বামীজীর আদর্শ ও নিজের আত্মবিশ্বাসে যে যাত্রা সঞ্জিত শুরু করেছে, সাফল্যের সাথে ওর লক্ষ্য পূরণ করবে বিশ্বাস করি। সঞ্জিতের জন্য শুভ কামনা রইল।’
বর্ধমান ‘বি’ সার্কেল ও মেমারী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সঞ্চিত মজুমদার কে অভ্যর্থনা।