ভগ্ন রাস্তা সারায়ের দাবিতে প্লাকার্ড হাতে স্কুল পড়ুয়ারা

আজিজুর রহমান,গলসি : দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার বেহাল অবস্থা। পাকা করার দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল এলাকার স্কুল পড়ুয়ারা সহ এলাকাবাসীরা। এদিন গলসি এক নম্বর ব্লকের লোয়া কৃষ্ণরামপুর অঞ্চলের স্কুল পড়ুয়ারা কেন্দুয়াটুকুড়ি গ্রামের কাছে প্লাকার্ড হাতে স্কুল না যাবার স্লোগান দিতে থাকে। এর পাশাপাশি রাস্তা পাকা না হলে লাগাতার আন্দোলনের হুসয়ারী দেন তারা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে আন্দোলোন এলাকাবাসী রুপা বাউরী ও রুবি সোরেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কেন্দুয়াটুকুড়ি থেকে অমরপুর যাবার পাঁচ ছয় কিমি রাস্তার বেহাল দশা। বিষয়টি নিয়ে তারা কয়েকবার গলসি ১ নং ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তাতে সুরাহা না মেলায় এদিন পথ অবরোধ করেছেন। গ্রামবাসী মমতা বাউরী বলেন, খারাপ রাস্তার জন্য গ্রামে আসেনা অ্যাম্বুলেন্স। ফলে নিত্য দুর্ভোগ পরেন রোগী ও প্রসুতি মায়েরা। তিনি বলেন, রাস্তা খারাপের জন্য আমি নিজেই হাসপাতালে যেতে পারিনি। রাস্তার মধ্যে গাড়িতেই বাচ্চা প্রসব হয়েছিল আমার। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছি। জানা গেছে, ওই রাস্তা দিয়ে কসবা রাধারানী হাই স্কুল ও লোয়া দিবাকর হাই স্কুলে পড়তে যায় এলাকার শতশত স্কুল পড়ুয়া। এমনকি ওই রাস্তা দিয়ে লোয়া ও পুরসা হাসপাতাল যেতে হয় এলাকার মানুষদের। স্কুল পড়ুয়া সুস্মিতা বাউরী, চন্দ্রিকা বাউরী জানাই, গোটা রাস্তা জুড়ে বড়বড় গর্ত হওয়ায় সমস্যায় পড়েছে তাদের এলাকার স্কুল পড়ুয়ারা। মাঝে মধ্যেই তারা ছোটখাটো দুর্ঘটনার কবলে পরে। তাদের জামাতে মোরাম মাটি লেগে স্কুল ড্রেস নষ্ট হয়ে যায়। তাদের দাবী, পাকা রাস্তা তৈরী না হলে তারা স্কুলে পড়তে যাবে না। এলাকাবাসী শেখর বাগদি স্বপন বাউরী, প্রভুনাথ চৌধুরী জানাই, ওই রাস্তা দিয়ে এলাকার নারানপুর, সোদপুর, কেন্দুয়াটুকুড়ি, সোদপুর মানা, জয়কৃষ্ণবাটি, কসবা, জাঁহাপুর ও মৌগ্রামের সাত থেকে আট হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এমনকি ওই রাস্তাদিয়ে কসবায় ব্যাংক, পঞ্চায়েত অফিস ও বুদবুদে বিডিও অফিসে যেতে হয় তাদের। রাস্তা খারাপের জন্য নিত্য সমস্যায় পরছেন তারা। চার বছর ধরে এই ভোগান্তির চলছে। তাদের দাবী দ্রুত নতুন রাস্তা তৈরী করুক প্রশাসন। তবে দ্রুত রাস্তা পাকা না হলে বড়সড় আন্দোলনের হুসিয়ারী দিয়েছেন স্কুলপড়ুয়া থেকে এলাকাবাসীরা।