|
---|
খান আরশাদ, বীরভূম:
বীরভূমের গ্রাম পঞ্চায়েত গুলোকে উন্নয়নের দিক দিয়ে রাজ্যের একেবারে সামনের স্থানে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়েজুল হক ওরফে কাজল সেখের।
এলাকায় উন্নয়ন করার দিক দিয়ে বীরভূম জেলায় যেসব গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি পিছিয়ে রয়েছে সেসব গ্রামগুলি বুধবার পরিদর্শন করলেন বীরভূম জেলা পরিষদ সভাধিপতি কাজল শেখ। গ্রাম পঞ্চায়েত গুলির কাজের নিরিখে বীরভূম জেলা এখন রাজ্যের ৪/৫ অবস্থান করলেও আগামী দিনে বীরভূম জেলার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি কাজের নিরিখে যাতে রাজ্যের সেরা হয়ে উঠতে পারে সেই লক্ষ্যেই জেলা পরিষদ সভাধিপতি বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত পরিদর্শন করলেন।
পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে জেলার কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়নমূলক খাতে পুরো টাকা খরচা করতে পারেনি, ফলে উন্নয়নের দিক থেকে সেসব গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি পিছিয়ে রয়েছে। পিছিয়ে পড়া এসব গ্রাম পঞ্চায়েত গুলি বুধবার পরিদর্শন করলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি।
বুধবার নানুরের জলুন্দি, ন’কড্ডা এবং সাঁইথিয়ার মাঠপলসা গ্রাম পঞ্চায়েতে পরিদর্শনে গিয়ে সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন। রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের উন্নতিকল্পে বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প তৈরি করেছেন সাধারণ মানুষের কাছে সেইসব প্রকল্প গুলির পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই একমাত্র লক্ষ্য। সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন তা সত্ত্বেও কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারছে না। কি কারণে এই সব গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি এদিক দিয়ে পিছিয়ে রয়েছে, তার কারণ জানতে এবং আগামী দিনে যাতে এই সব গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি উন্নয়নের নিরিখে সামনের সারিতে আসতে পারে, সেই লক্ষ্যে মমতা ব্যানার্জি নির্দেশ মতো তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত করাই তাঁর লক্ষ্য বলে জানালেন সভাধিপতি কাজল শেখ। উন্নয়নের নিরিখে আগামীতে বীরভূম জেলা রাজ্যের প্রথম অথবা দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করবে। এমনটাই আশা বীরভূম জেলা পরিষদ সভাধিপতি কাজল শেখের।