ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজ্ড আন এডেড্ মাদ্রাসা টিচার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্ণা

বিশেষ প্রতিবেদন : ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজ্ড আন এডেড্ মাদ্রাসা টিচার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আগামী ২৯সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১১ টা থেকে মাসিক বেতনের দাবীতে “বেঙ্গল আর্মির” পারমিশন নিয়ে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্ণায় বসতে চলেছে । সংখ্যালঘু দরদী হিসেবে পরিচিত এই রাজ্য সরকার সংখ্যালঘুদের সুদীর্ঘ ৯ বছর ধরে ব্যাকফুটে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত করছে। কোনো উন্নয়ন করেনি শুধু করেছে প্রবঞ্চনা। আর সেই প্রবঞ্চনার ছাপ বারংবার প্রকাশ্যে এসেছে। যদি এই রাজ্য সরকার সংখ্যালঘুদের আধুনিক শিক্ষার উন্নয়নই করে থাকে, তবে এই রাজ্য সরকার অনুমোদিত আন-এডেড্ মাদ্রাসার শিক্ষক- শিক্ষিকারা কি কারণে বারংবার আন্দোলনে নামছেন? কি কারণে তারা দীর্ঘ ৯ বছর ধরে বেতন থেকে বঞ্চিত?কেন্দ্র সরকারের দ্বারা প্রদেয় SPQUEM এর টাকা কি কারনে রাজ্য সরকার বন্ধ করে দিল ?এই প্রশ্নের উত্তর রাজ্য সরকার কি কখনো ভেবে দেখেছেন, না সংখ্যালঘু উন্নয়ন এর নামে সংখ্যালঘুদের উপর দ্বিচারিতা করছেন। সংখ্যালঘু সমাজ বর্তমান সরকারের কাছে এই প্রশ্ন রাখছে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি জাভেদ মিয়াঁদাদ বলেন “এই অবস্থান-বিক্ষোভ এর মধ্যে দিয়ে আমরা সরকারকে আর একটা সুযোগ দিতে চাই আমাদের সঙ্গে বসার জন্য, নাহলে আমরা বৃহত্তর নবান্ন অভিযানে নামতে বাধ্য হব,সে অভিযান হবে রক্তক্ষয়ি অভিযান।”সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক শ্রী পলাশ রম আরও বলেন “সরকারের এই দ্বিচারিতার মুখোশ আমরা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সামনে তুলে ধরব আর এর ফলে ২০২১ সরকারের কাছে খুব সুখকর হবে না।”