সপ্তাহব্যাপী রামায়নের সপ্ত কান্ড নিয়ে রাজধারী মুখোশ পালা গান সমাপ্ত আজ

চোপড়া: সপ্তাহব্যাপী রামায়নের সপ্ত কান্ড নিয়ে রাজধারী মুখোশ পালা গান সমাপ্ত হল শুক্রবার সকালে। বৃহস্পতিবার সারারাতব্যাপী এই গান মঞ্চস্থ হয় চোপড়ার সোনাপুর রামপাড়া গান মঞ্চে। এই গান শুনতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা সহ প্রতিবেশী বিহার রাজ্য থেকেও লোকেরা এসে জমায়েত করেন। এই গানের বিশেষ আকর্ষণ কাঠের তৈরি মুখোশ পরে রাবন,মহিরাবন, কুম্ভকর্ণ, হনুমান ইত্যাদি সেজে রামায়ণের সপ্কাকাণ্ডের দৃশ্যগুলি মঞ্চস্থ করা হয়।

    দলের পক্ষে সুবোধ রায়, কমলাকান্ত রায়, সুবল রায়, রাধকান্ত ও সুবাস রাম জানান, প্রতিবছর রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে মুখোশ শিল্পীরা সপ্তাহব্যাপী এই গান করে থাকেন পুরনো লোক সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। গত শনিবার এই গান শুরু হয়, শেষ হয় শুক্রবার সকালে। শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে কৃষ্ণ লীলা।বহুদিন পরে এইরকমের অনুষ্ঠান হওয়ায় খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ।এক পুরানো বাসিন্দা জানালেন আগে শীতের সময় এই ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য সাধারণ মানুষের সময় অনেকটাই কেটে যেতো।এবং তারা উপভোগও করতেন এই ধরনের অনুষ্ঠানের।লোকসমাগম বেশ ভালই হত।কিছুটা হলেও অর্থের মুখ দেখতে পারতেন ওই এলাকার ছোট ছোট খাবারের দোকানের ব্যাবসায়ীরা।গতবছর করোনা এবং লকডাউনের কারনে এই সব অনুষ্ঠান বন্ধ ছিলো।এবারে এইসব অনুষ্ঠানের অনুমতি পাওয়ায় আমরাও খুশি।জানালেন ওই এলাকার এক মাঝবয়োসী মহিলা অসীমা পাল।তিনি আরো জানালেন বাচ্চারাও এই সব অনুষ্ঠান পছন্দ করে কারন এই সব অনুষ্ঠানে তারা রামায়ন, মহাভারত এবং পুরানের চরিত্রগুলিকে খুজে পায়।যদিও করোনার কারনে মুখে মাষ্ক এবং সানেটাইজার ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না,জানালেন এই সব অনুষ্ঠানের উদ্যেক্তাদের একজন,তিনি জানিয়ে দিলেন আমরা চাই পরের বছরও এই অনুষ্ঠান হোক কোন কারনে যাতে বন্ধ না হয়।তাই আমরা কিছু কিছু নিয়ম তৈরী করেছি করোনা সংক্রমন থেকে রক্ষা পাবার জন্য।