|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- আধুনিকতার ছোঁয়া হোক অথবা পড়াশুনার ক্ষেত্রে সুবিধা, বিভিন্ন কাজে এখন বাড়ছে স্মার্টফোনের ব্যবহার। এই স্মার্টফোন এখন পড়ুয়াদের হাতে হাতে পৌঁছে গিয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায় এই সকল স্মার্টফোন এবং তার ব্যবহারের কারণে যেমন পড়ুয়ারা পড়াশোনার ক্ষেত্রে নানান শিক্ষামূলক বিষয় গ্রহণ করে থাকে, ঠিক তেমনি নানান অশিক্ষামূলক বিষয়ে চর্চা করতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন৷ এই ধরনের বহু অভিযোগ জমা পড়ছে থানায়। বিশেষ করে ছাত্রীরাই বেশি শিকার হচ্ছেন৷ যেমন কারও ছবি ব্যবহার করে ফেক অ্যাকাউন্ট খোলা অথবা কারও মুখমন্ডল অন্য কারও শরীরের সঙ্গে যুক্ত করে নানান অপ্রীতিকর ছবি তৈরি করে তা ছড়িয়ে দেওয়া। এই সকল বিষয় থেকে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করবে ছাত্রীরা তা নিয়েই বীরভূম পুলিশ একটি সচেতনা শিবিরের আয়োজন করে৷ নাম দেওয়া হয়েছে সুচেতনা৷ পুলিশের তরফ থেকে বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের নিয়ে সুচেতনা শিবিরকরা হচ্ছে। যেখানে মহিলা থানার পুলিশ আধিকারিকরাউপস্থিত হয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে তাদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে একেবারে একান্ত আলোচনা করছেন। সেখানে কারওকোন অভিযোগ থাকলে বা কিছু জানার বিষয় থাকলে তা জেনে নিতে পারছেন। আবার সকলের সামনে যদি কেউ কোনও বিষয় বলতে অসঙ্গতি প্রকাশ করেন,তারা পুলিশের তরফ থেকে দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে সেই বিষয়টি জানাতেপারবেন। এই কর্মসূচির অংশ হিসাবে যে হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইন নম্বরটি চালু করা হয়েছে সেটি হল 8370918416. এই কর্মসূচি ইতিমধ্যেই বীরভূম জেলা পুলিশের তরফ থেকে শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কোনও ছাত্রী প্রচারণামূলক অথবা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ার আগেই সতর্ক হতে পারবে বলে মনে করছে জেলা পুলিশ। কর্মসূচি নিয়ে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, \”ডোমেস্টিক সেক্সচুয়াল অ্যাসল্টের মত ঘটনা এখন বেশি ঘটছে৷ এই সবঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক সময় তারা সুযোগ পায় না কাকে বলবে, কার সঙ্গে তা শেয়ার করবে। তার জন্যইসুচেতনতা নামে বীরভূমের তিনটি মহুকুমার জন্য তিনটি টিম তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।\”