রক্তদান শিবিরের কেন প্রয়োজন !

রক্তদান শিবিরের কেন প্রয়োজন !

    সামিউল আহমেদ: অনেকেই বলে থাকেন, রক্তদান শিবিরে রক্ত আমরা দিবোনা। ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে সরাসরি রুগীকে রক্ত দিবো। খুব ভালো কথা, যখন কোন রুগীর রক্তের প্রয়োজন হয় তখন যদি ব্লাড ব্যাংকে রক্ত না থাকে তখন ডোনারের প্রয়োজন হয় । রোগীর অবস্থা খারাপ থাকার জন্য বা রক্তের প্রয়োজনীয়তার জন্য রুগীর বাড়ির লোক হন্যে হয়ে রক্তের সন্ধান করে। সেই সময়টা রোগীর বাড়ির লোককে চরম পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। এই রকম পরিস্থিতি রাত দুটো বা তিনটে বা যে কোন সময় হতে পারে। এই রকম পরিস্থিতি অনবরত ঘটে চলেছে। রোগীর বাড়ির লোক বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের বা রাজনৈতিক নেতাদের ফোন করেন। এবং ডোনারের জন্য অনুরোধ করেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোও সেই চরম পরিস্থিতির মধ্যে ডোনার খুঁজাখুঁজি শুরু করে। এই একটা সময় খুব বিপদজনক , একদিকে সময় নিয়ে ডোনার খোঁজা অন্যদিকে রুগীর সংকটজনক অবস্থা দুইদিকে বিপদজনক হয়ে ওঠে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো যখন ডোনারের অনুসন্ধান করে ডোনার ব্লাড ব্যাংকের উদ্দেশ্য নিয়ে যায় সেসময় একটা ভয়ও থাকে! ডোনারের গন্তব্য স্থল থেকে ব্লাড ব্যাংক পর্যন্ত মোটর বাইকে করে যাওয়ার সময় অনেক সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তেও হতে পারে। তাছাড়া পুলিশের দ্বারা হয়রানি সম্মুখীন হতে হয়? এইরকম বহু ঘটনা ঘটেছে। এক কথায় জীবনকে বাজি রেখে অন্যজনের জন্য সহযোগিতা করা, এই সংকট ময় পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য রক্তদান শিবির অবশ্যই প্রয়োজন। আজ প্রতিটি জেলায় প্রতিদিন দুটো করে রক্তদান শিবির হলে অন্ততপক্ষে ব্লাড ব্যাংকে রক্তের যোগানটা থাকবে। রোগীর বাড়ির লোক অনায়াসে যেকোনো সময় ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত টা পেয়ে যাবেন। তাছাড়া রক্তের যখন সংকট দেখা দিয়েছে তখনই রক্তের কালোবাজারি বেশি হয়েছে। রক্তদান শিবির গুলো হলে রক্তের কালোবাজারি অনেকটাই কমে যাবে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় রক্তদান শিবির গুলো যখন অনুষ্ঠিত হবে তখন অনেকেই স্বইচ্ছায় রক্তদান করতে আসবেন। এবং রক্তদানে অনেকেরই আগ্রহ বাড়বে। তাছাড়া রক্তদান শিবির এর মাধ্যমে এলাকায় রক্তদান সচেতনতা গড়ে উঠবে। রক্তদানের মাধ্যমে বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে অবগত হবে। রক্তদানের মাধ্যমে তার রক্তের গ্রুপ এবং শারীরিক যে সমস্ত সমস্যা সেগুলি রক্তদাতা জানতে পারবেন।