চিকিৎসা করাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন দুবাই যেতে হবে? প্রশ্ন তুললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা

নিজস্ব সংবাদদাতা : চিকিৎসা করাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন দুবাই যেতে হবে? প্রশ্ন তুললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। স্পষ্ট করার চেষ্টা করলেন বাংলার চিকিৎসা পরিষেবার মান।ইডির নির্দেশে বিপাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদের চিকিৎসা করাতে দুবাই যাত্রার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ক্ষুব্ধ তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড। আদালতের দ্বারস্থ তিনি। ইডির নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।এরপরই বিস্ফোরক অনুপম হাজরা। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘চোখের চিকিৎসা করাতে ছোট মালিক যেতে চান দুবাই, কিন্তু ED’র তরফে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা!!! তাই, “স্বাস্থ্য পরিসেবা দেশের সর্বোৎকৃষ্ট” দাবি করা মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রী কে অনুরোধ ভাইপোর চিকিৎসা দুবাইতে কেনো রাজ্যেই করান’মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা দেশের সেরা। এমনকী এই পরিষেবা বিশ্বমানের বলেও মাঝে মধ্যেই সম্বোধন করে থাকেন দেশের প্রশানিক প্রধান। অনুপমের প্রশ্ন, যদি মুখ্যমন্ত্রীর দাবিই সত্যি হয় তাহলে কেন তাঁর ভাইপো তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদেশে গিয়ে চোখের চিকিৎসা করাতে হবে। কার্যত রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবার হাল নিয়ে বাস্তব পরিস্থিতির কথা তুলে ধরতে মরিয়া বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।গরুপাচার কাণ্ডে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই মামলায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন অন্যতম সাক্ষী। ইতিমধ্যেই গোয়েন্দারের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। অভিষেক দাবি, আগামী ৩ থেকে ১০ জুন চোখের চিকিৎসা করাতে দুবাই যাবেন তিনি। তাই এই সময়কালের মধ্যে যেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব না করে ইডি। এই মর্মেই ইডি-র কাছে চিঠি দিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।কিন্তু, অভিষেকের আর্জিতে আপত্তি জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁর বিদেশযাত্রার আবেদন নাকচ করা হয়েছে। এরপরই ইডির আপত্তির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিষেক। তাঁর বিদেশযাত্রায় ইডির নিষেধাজ্ঞার উপর স্থগিতাদেশ জারির জন্য আবেদন করেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।