|
---|
হাওড়া: পণের টাকা না পেয়ে অত্যাচার করত স্বামী। যার জেরে বিয়ের মাত্র নয় মাসের মাথায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী গৃহবধূ। এমনটাই অভিযোগ তাঁর স্বামী মিলন মান্নার বিরুদ্ধে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী। জগৎবল্লভপুর বিধানসভা পোলগুষ্টিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নলদা গোবিন্দপুরের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় নয় মাস পূর্বে নলদার মিলন মান্নার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল করবি মান্নার। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্রায়ই পণের টাকা আদায় করার জন্য করবীকে চাপ দিত মিলন। একই অভিযোগ জানিয়েছেন মৃতার বাপের বাড়ির আত্মীয়রা বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য রীতিমতো অত্যাচার করত স্বামী মিলন এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছে তবে মিলনের পরিবারে মেয়ের বিয়ে দিতে কিছুটা আপত্তি ছিল পরিবারের। শুধুমাত্র মৃতার স্বামী নয় অভিযুক্ত মিলনের বোনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করবীর পরিবারের।
অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই লাগাতার অশান্তি লেগে থাকত ওই পরিবারে। বাপের বাড়ি থেকে পণের টাকা আনার জন্য করবীকে জোর করত মিলন মান্না, এই নিয়ে বারবার অশান্তি হত তাদের মধ্যে, সোমবার সেই অশান্তি চরমে ওঠে। যে কারণে বাড়িতে থাকা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই গৃহবধূ। সঙ্গে সঙ্গে ওই গৃহবধূকে উদয়নারায়ণপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গিয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই গৃহবধূকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর, ঘটনার পরেই জগৎবল্লভপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যরা। ঘটনার তদন্তে নেমে ওই গৃহবধূর স্বামী মিলন মান্নাকে পোলগুস্থিয়ার তাঁর নিজেরই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ তাঁকে হাওড়া আদালতে তোলা হয়। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।