২০২১-এ হজে যাওয়া কি সম্ভব হবে?

২০২১-এ হজে যাওয়া কি সম্ভব হবে?

     

     

    নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: গতবছর খ‍ুবই সীমিত আকারে হজ হয়েছিল মাত্র কয়েক হাজার পুণ্যার্থী সম্বন্নয়ে। অথচ প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে কমপক্ষে ৩০ লাখ হজ যাত্রী মক্কায় আগমন করেন। কোভিড-১৯’কে রোখার জন্য সউদি রাজশাহী এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। ভারত থেকেও যাঁরা হজে যাওয়ার ফর্ম পূরণ করেছিলেন, তাঁদের হজ যাত্রাও শেষপর্যন্ত বাতিল করতে হয়।

     

    এখন থেকে ভারত-সহ দুনিয়া ব্যাপী হজ গমনে ইচ্ছুকরা জানতে চান, ২০১৯-এ তো হল না। ২০২১-এ হজে যাওয়া কি সম্ভব হবে? হজের তত্ত্বাবধায়ক দেশের সরকার সউদি রাজশাহী এখনও পর্যন্ত এ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে ভারত সরকার সোমবার জানিয়েছে, ২০২১ সালের হজের জন্য তারা প্রস্তুতি শুরু করেছে এবং ভারত সরকার খ‍ুব তাড়াতাড়ি হজের আবেদনপত্র গ্রহণ করার প্রক্রিয়া শুরু করবে।

     

    হজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী ম‍ুখতার আব্বাস নাকভি সোমবার হজ কমিটি অফ ইন্ডিয়ার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করার পর উপরোক্ত মন্তব্য করেছেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হজ কমিটির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মাকসুদ আহমদ, সংখ্যালঘু দফতরের সচিব পি কে দাস, ভারতের বিদেশ দফতরের যুগ্ম সচিব ভিপুল, সউদি আরবে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত অউসাফ সাঈদ প্রম‍ুখ।

     

    সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ম‍ুখতার আব্বাস নাকভি বলেন, ২০২১ সালে ভারত থেকে হজযাত্রী প্রেরণ করা হবে কি না, তা নির্ভর করবে কোভিড অতিমারির জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রোটোকলের ওপর। ২০২১ সালের জুলাই মাসে হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু এই সম্বন্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সউদি আরব ও ভারত সরকারের স্বাস্থ্য নির্দেশনা অনুযায়ী। এ ছাড়া এটাও লক্ষ্য করা হবে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সারাবিশ্বে কী পর্যায়ে রয়েছে।

     

    ভারতের হজ কমিটি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগগুলি খ‍ুব শীঘ্রই হজের আবেদনপত্র গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করবে। ২০২১ সালে হজ সম্পর্কে সউদি আরব সরকার কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা দেখতে ভারত সরকার প্রস্তুতি এগিয়ে নিয়ে যাবে। মন্ত্রী ম‍ুখতার আব্বাস নাকভি আরও বলেন, কোভিড মহামারির জন্য আগামী হজের ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক পরিবর্তন করা হবে।

     

    ভারতীয় হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে সরকার অগ্রাধিকার দেবে। এ বছর ভারত থেকে ১ লক্ষ ২৩ হাজার হজযাত্রী মক্কায় সফর করতে পারেননি। হজ যাত্রার জন্য তাঁদের দেওয়া ২,১০০ কোটি টাকা হজ কমিটি ফেরত দিয়ে দিয়েছে। হজে যাওয়ার জন্য ৩ বছরের অপেক্ষায় রেখে দেওয়া ৫১৪ কোটি টাকাও হজ কমিটি ফেরত দিয়েছে। আর অনলাইনে এই বিরাট পরিমাণ অর্থ হজে গমন ইচ্ছুকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ফেরত দেওয়া হয়েছে।