বগটুই অগ্নিসংযোগ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ মহিলার মৃত্যু

সেখ রিয়াজুদ্দিন, রামপুরহাট:- বীরভূমের রামপুরহাট বগটুই ঘটনার ৪০ দিন পর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসারত আতাহারা বিবি রবিবার ভোররাতে মারা যান। উল্লেখ্য গত ২১ শে মার্চ রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে রাত্রি সাড়ে আটটা নাগাদ বোমা ছুড়ে খুন করা হয় তৃনমূল কংগ্রেস পরিচালিত বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু সেখকে। ওই ঘটনার পরমুহুর্তেই ভাদু বিরোধী হিসেবে বগটুই গ্রামের ১০ টি বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে । স্থানীয় দমকল বাহিনী আগুন নেভাতে এসে বাড়ির ভেতর থেকে ৮ জনের ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয় অগ্নিদগ্ধ ভাবে আহত এক মহিলার। তার ৪০ দিন পর ফের আজ রবিবার ভোররাতে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেই মৃত্যু হয় আতাহারা বিবি(৫০) নামে অগ্নিদগ্ধ মহিলার। যার ফলে সেই বিভীষিকাময় রাতের বগটুই গনহত্যাকান্ডে এপর্যন্ত ৮জন মহিলা,১জন পুরুষ এবং ১জন নাবালিকা সহ মোট ১০ জনের মৃত্যু হল।বিশেষ উল্লেখযোগ্য যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুই গ্রামে স্বজনহারানোদের সমবেদনা জানাতে আসেন । অগ্নিদগ্ধে আহতদের মধ্যে একজনের ৬৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাকে কোলকাতা নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার কথা বললে ও চিকৎসকরা রোগীর অসুবিধার কথা ভেবে নিয়ে যাওয়ার সম্মতি দেননি। যার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী রামপুরহাট হাসপাতালে বিশেষ চিকিৎসক দল পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ৬৫ শতাংশ অগ্নিদগ্ধে আহত মহিলা ঘটনার দিন কয়েক পরেই মারা যান। এরপর বাকি আর একজন আতাহারা বিবির চিকিৎসায় উন্নতি হওয়ায় তার আত্মীয়স্বজন তাকে বাড়ি নিয়ে গেলে সেখানে ফের অবস্থার অবনতি হওয়ায় একদিনের ব্যবধানে পুনরায় রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবন যুদ্ধে হেরে যায় অগ্নিদগ্ধে আহত মহিলা আতাহারা বিবি। পরিবারের লোকজন হাসপাতালে মৃতদেহ আনতে সকালেই হাজির হয়ে যায়। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভালো রকম পরিষেবা প্রদান করা হয় তথা চিকিৎসা ক্ষেত্রে কোন ত্রুটি ছিল না বলে পরিবারের দাবি। মৃতদেহ বাড়ি এনে জানাজা,মাটি তথা কবর দেওয়া হবে বলে জানা যায় পরিবার সূত্রে।পাশাপাশি সিবিআই আধিকারিকের একটি দল ও বগটুই কান্ডে অগ্নিদগ্ধ আতাহারা বিবির মৃত্যু সংবাদ পেয়ে রামপুরহাট হাসপাতালে পৌঁছে যান, তদন্তের স্বার্থে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে কথা বলেন বলে জানা গেছে।