|
---|
শরিফুল ইসলাম , শান্তিপুর : সকলের ঘরের লক্ষী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেই মেয়েদের নিয়েই শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের উদ্যোগে একদিনের মহিলা প্রীতি ভলিবল প্রতিযোগিতা হয়ে গেল শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরীর মাঠে।
এদিন, বুধবার শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে অনুষ্ঠিত মহিলা প্রীতি ভলিবল প্রতিযোগিতায় শান্তিপুর তো ছিলই, ছিল নদীয়া জেলা সহ অন্ত:রাজ্যর বেশ কয়েকটি মহিলা ভলিবল টিম।
এক দিবসীয় টুর্নামেন্টের দুটি সেমিফাইনাল ও একটি ফাইনাল-এর মাধ্যমে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষিত হয়।
এদিনের খেলায় রানার্সআপ হয় শান্তিপুর প্রীতি ক্লাব ও চ্যাম্পিয়ন হয় মগড়া উইমেন্স ভলিবল এসোসিয়েশন। উভয় টিমকে ট্রফি ও নগদ অর্থের মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হয়। উইম্যান অফ দি ম্যাচ এবং উইম্যান অফ দি সিরিজ হয় টিম মগড়ার খেলোয়াড় । তাঁদেরও ট্রফি দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এই খেলায় শান্তিপুর বাসীর উৎসাহ ও উদ্দীপনায় দৃশ্যত খুশি বিধায়ক শ্রী ভট্টাচার্য এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন, ” ইন্টারনেটের সর্বগ্রাসী মোহে কিশোর-কিশোরীরা এখন আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। চিরন্তন ঐতিহ্যের এই সব কসরতের খেলায় উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে আমাদের ঘরের ছেলে-মেয়ে কে যুক্ত করতে হবে বেশি বেশি। এ-ক্ষেত্রে অভিবাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্যোগী মননশীল হতে হবে।”
শান্তিপুরের একমাত্র ভলিবল ট্রেনার, এদিনের খেলার রানার্সআপ অপর্ণা চক্রবর্তী বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের পক্ষ থেকে পুরস্কার হিসাবে ট্রফি-নগদ অর্থ ও ক্রীড়া সরঞ্জম পেয়ে বেশ খুশি।
রানার্সআপ টিমের কর্ণধর অপর্না চক্রবর্তী আক্ষেপের সুরে বলেন , “শান্তিপুরে মহিলাদের ভলিবল প্র্যাকটিস করার জন্য আলাদা কোনো সহযোগিতা প্রশাসনের তরফ থেকে এত দিন পাওয়া যায় নি। এই প্রথম শান্তিপুরের বর্তমান বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য এবিষয়ে এগিয়ে এলেন।”
এদিনই, বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের পক্ষ থেকে শান্তিপুরের ক্লাবগুলিকে ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রবীণ শিক্ষক বিশ্বমোহন প্রামানিক, দীপঙ্কর চক্রবর্তী, জননেতা কুমারেশ চক্রবর্তী সহ শান্তিপুরের বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধি ও ক্রীড়াপ্রেমী অধিকাংশই।