|
---|
জাকির হোসেন সেখ, নতুুুন গতি, নশিরাকো:
বহু প্রতীক্ষিত শিরাকোল অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো আজ। লিরাকোল যুধিষ্ঠির ননীলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের বিমল কৃষ্ণ নগর এবং হাফিজা বিবি মঞ্চে।
সকাল ১০টায় জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন একসময়ের শিরাকোল গ্রাম পঞ্চায়েতের দীর্ঘদিনের প্রধান, বর্তমানে এলাকার বিধায়ক তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা।
অতিথিবর্গকে ব্যাজ ও পুষ্পস্তবক দিয়ে অভ্যর্থনা জানান অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি মন্ডলীর অন্যতম সদস্য মুজিবর রহমান মোল্লা। উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন ডাঃ রবিন প্রধান। লিরাকোল অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি এবং
গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারী কাশ্মীরের পুলওয়ামায়, জঙ্গি হামলায় সিআরপিএফের ৪৯ জন এবং কয়েক দিন পর আরো ৪জন সেনার শহিদ স্মরণে, অকালে প্রয়াতা মন্ত্রীজায়া হাফিজা বিবি, পঞ্চায়েত সদস্য বিমল কৃষ্ণ মন্ডল সহ স্থান কাল নির্বিশেষে
শহীদ হওয়া তৃনমূল কর্মীদের, এবং প্রাকৃতিক নিয়মে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে, ঘটনায়, দুর্ঘটনায়, কালে অকালে প্রয়াত ব্যক্তিদের স্মরণে সকলের
আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থণা সহ গভীর শোক প্রকাশ করে শোকবাক্য পাঠ করেন অভ্যর্থনা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য গৌতম মুখার্জি।
মৃতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে, উঠে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর বক্তব্য রাখেন সেলিম খান, গোপাল রায়, ইমরান হাসান, নাজমুল দপ্তরি, প্রতাপ পুরকাইত। সবশেষে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। প্রথমে তিনি ‘আসসালামু আলাইকুম’ জানিয়ে শুরু করেন।
তিনি বলেন, ‘গোটা ভারতে আজ ঘোর দুর্দিন চলছে। ব্যতিক্রম পশ্চিমবঙ্গ হলেও বিজেপি চেষ্টা চালাচ্ছে এখানেও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে। আমাদের সাবধান থাকতে হবে। আগাম সতর্কতা থাকা সত্বেও পুলওয়ামায় এতবড় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে গেল।
এর দায় কি মোদীর নয় ? অথচ মোদীর সাঙ্গপাঙ্গরা সেসব চাপা দিতে সর্বত্র সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের অন্যত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাশ্মীরিদের প্রতি হামলা করছে। এসব মোটেই বরদাস্ত করা হবে না।
তিনি বলেন, নিহত জওয়ানদের মধ্যে সুদীপ বিশ্বাস এবং বাবলু সাঁতরার পরিবারকে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ লক্ষ টাকা সহায়তা দেয়া ছাড়াও পরিবারের একজনকে চাকরি দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
দেশভক্ত বিজেপি সরকার তা করেনি কেন ?’
তিনি বলেন, ‘ভুললে চলবে না যে শহীদ সেনা নাসির আহমেদের মা পুত্রের জানাজায় দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মুতোড় জবাব দেবার জন্য শপথ নিতে বলছেন।
তাই রবীন্দ্র নজরুলের সম্প্রীতিকে পাথেয় করে আমাদের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অপচেষ্টাকে রুখে দিতেই হবে।’
জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।