|
---|
আজ বিশ্ব সংগীত দিবস
নাজমুল হালদার,নতুন গতি :
অস্থির মানবতার এক শান্তির আশ্রয় সংগীত। সংগীতের মতো এত বিশাল আর বিপুল স্বতন্ত্র অস্তিত্ব মানুষের সংস্কৃতিতে পাওয়া দুর্লভ। সংগীত, হৃদয়ের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে কথোপকথন করে থাকে। “মিউজিক থেরাপি”র মধ্য-দিয়ে কঠিন রোগ নিরাময়ের প্রচলনও রয়েছে আধুনিক সভ্যতায়। সংগীতের এই সার্বজনীন রূপকে আন্তর্জাতিকভাবে বরণ করতেই ২১শে জুন পালন করা হয় “বিশ্ব সংগীত দিবস”।
শুধু গানের জন্য একটা দিন উদযাপন শুরু হয় বছর বত্রিশ আগে ফ্রান্সে। পারির রাস্তায় বহু শিল্পী একত্রে রূপ দেন ‘ফেৎ দো লা মিউজিক’-এর ভাবনায়। তারপরে অনেকটা পথ পেরিয়ে ২১শে জুন আজ “বিশ্ব সংগীত দিবস”।
ভারত-বাংলাদেশসহ বিশ্বের আরও ১১০টি দেশে, বর্ণময় সব আয়োজনের মধ্য দিয়ে “বিশ্ব সংগীত দিবস” দিনটি পালন করা হয়। ছোট-বড় মিলিয়ে, বিশ্বে অন্তত হাজার খানেক কনসার্ট হয় এই দিনটিকে ঘিরে। বহু বছর ধরেই ঐতিহ্যবাহী মিউজিক ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে আসছে ফ্রান্স। এ’ভাবে, ১৯৮২ সালের ২১শে জুনের ফেস্টিভ্যাল ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে’র রূপ নেয়।
গান হতে হবে মুক্ত; সংশয়হীন— এই স্লোগানকে সামনে রেখেই বিশ্বের ১১০টি দেশ যোগ দেয় এই আন্দোলনে। ১৯ বছরের পথ পরিক্রমায় আন্তর্জাতিক মাত্রা পায়। আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, স্থানীয়ভাবে অথবা ফরাসি দূতাবাসের সহায়তায় জুনের ২১ তারিখে স্থির হয় ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে’। মন খুলে গান গাওয়া আর মন ভরে গান শোনার এই উৎসবে তাই দর্শক আগ্রহের কোন খামতি থাকে না।
“বিশ্ব সংগীত দিবস” সুরময় হয়ে থাকুক। সুরের মুর্ছনায় আনন্দিত হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়। সবচেয়ে বড় কথা বিশ্ব সংগীত, সেই সাথে আমাদের দেশীয় সংগীত দিনে দিনে যাতে আরও সমৃদ্ধ হয় এই চাওয়া রইলো “বিশ্ব সংগীত দিবস”-এ।