গতকাল আনিস খানের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে ফের পথে নামে বাম ছাত্র-যুব সংগঠন!

নিজস্ব সংবাদদাতা: আনিস খান, সুদীপ্ত গুপ্ত, মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যু, বেকারত্ব, দুর্নীতি-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে ফের রাজপথে বামেরা। একটি মিছিল শুরু হয়েছে শিয়ালদা থেকে। পাশাপাশি হাওড়া (Howrah) এবং হাজরা থেকেও ‘ইনসাফ সভা’-র দিকে এগিয়ে চলেছে মিছিল। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই ধর্মতলায় শুরু ছাত্র যুবদের জমায়েত। ধর্মতলায় (Dharmatala) ইনসাফ সভার ডাক SFI-DYFI-এর। বক্তা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ও SFI-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য (Srijan Bhattacharya)। বাম (Left) ছাত্র-যুবদের স্লোগান, কাঁপাতে ১৪ তলা, চলো ধর্মতলা। হাওড়া ও শিয়ালদা থেকে মূলত দুটি মিছিল আসার কথা ধর্মতলায়। গতকালই বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন বাম কর্মী, সমর্থকরা। রাতে হাওড়া স্টেশনে তাঁদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয় সিপিএমের (CPM) তরফে।

     

    সম্মুখে মিনাক্ষী: গতকালও হাওড়ার (Howrah) নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে ফের পথে নামে বাম ছাত্র-যুব সংগঠন। আমতার সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়ায় আনিসের বাড়ি থেকে আমতা থানা পর্যন্ত মিছিল এসএফআই-ডিওয়াইএফআইয়ের। মিছিলের নেতৃত্বে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। আগামীকাল ধর্মতলায় প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছে বামেরা। তার আগে আমতায় আনিসের মৃত্যুর প্রতিবাদে এই মিছিলে সামিল হয়েছেন নিহত ছাত্রনেতার পরিবারের সদস্যরা।

     

    ধর্মতলায় ইনসাফ সভার ডাক: ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যার (Anis Khan Murder case) বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার কলকাতার ধর্মতলায় ইনসাফ সভার ডাক দেয় ডিওয়াইএফআই ( DYFI) এবং এসএফআই (SFI) রাজ্য কমিটি। এই উপলক্ষে সোমবার রাতে বিভিন্ন জেলা থেকে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই কর্মীরা কলকাতায় (Kolkata) আসতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই সেই ছবি শেয়ার করেছেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।

     

    সোমবার রাতে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেসে পুরুলিয়া থেকে কর্মীরা আসেন। এছাড়াও বীরভূম, বাঁকুড়া এবং অন্যান্য জেলা থেকেও বিভিন্ন ট্রেনে রাতে কর্মীরা হাওড়া স্টেশনে আসেন। হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) তাদের খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয় সিপিএম-র হাওড়া জেলা কমিটির পক্ষ থেকে। তাঁদের খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। অনেকে স্টেশনে রাত কাটালেও বেশ কিছু কর্মীদের পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত কাটিয়ে তারা সকালে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।