|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা :মণিপুরের দুই আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে নিগ্রহ করার ঘটনায় উত্তাল হয় দেশ। এই ঘটনার আঁচ আসে সংসদের বাদল অধিবেশনেও। এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এরই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে ওই ঘটনার মামলার বিচার হবে অসমের গুয়াহাটি হাইকোর্টে। সেখানে, মে মাস থেকে শুরু হওয়া হিংসার পরে মহিলাদের যে যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে তারও তদন্ত করবে সিবিআই।আর, এই সময়েই মণিপুরের এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করার ঘটনায় অভিযুক্ত এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিষ্ণুপুর এলাকার খাঙ্গেমবাম সঞ্জয় সিং নামে ওই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। শনিবার ওই খুনের দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছন্নতাবাদী সংগঠন পিপলস লিবারেশন আর্মি। PLA-এর রাজনৈতিক শাখা (RPF) সঞ্জয়কে হত্যা করার দায় স্বীকার করে একটি বিবৃতি দিয়েছে।তারা জানিয়েছে, এক নাবালিকার ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছিল সঞ্জয়। এই কারণে ‘গণ আদালতে’ বিচার করে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এরই সঙ্গে ওই সংগঠন জানিয়েছে, সেখানে কেউ কাউকে যৌন নির্যাতন করলে তারও একই পরিণতি হবে। অভিযোগ, গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর, ইম্ফল পূর্ব জেলায় থাকেল সঞ্জেবাম গ্রামে এক ব্যক্তির সামনেই তাঁর নাবালক মেয়েকে যৌন নির্যাতন চালায় বছর ৩০-এর সঞ্জয়।জানা গিয়েছে সঞ্জয়ের বাড়ি বিষ্ণুপুর জেলার কুম্বি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। শনিবার কয়েক জন তাঁকে তাঁর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে কুম্বি খুগা ওয়াঙ্গমা এলাকা থেকে তাঁর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। কুম্বি থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের দেহে একাধিক গুলির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তাঁর ঘাড়ে এবং পিঠে গুলির আঘাত আছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।পুলিশ জানিয়েছে, কী কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে ওই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, যৌন নির্যাতনের পরে ওই নাবালিকা এবং তাঁর পরিবারকে অনেক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে। তাদের দাবি, সঞ্জয়ের সঙ্গে ওই সংগঠনের কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তাদের মতে, ওই যুবক দেশ এবং মানবিকতার শত্রু। সেই কারণে তাঁকে চরম শাস্তি দিয়েছে তারা।