মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলা থানার ফের পুলিশের অমানবিক পৈশাচিক অত্যাচার জলাশয়ে মৃত্যু এক যুবকের

আব্দুস সামাদ, জঙ্গিপুর:-আজ পৃথিবীর চারিদিকে আর্ত মানুষের হাহাকার উঠছে । দূর্বলের উপরে সবলের অত্যাচারে, দরিদ্রের উপর ধনীর বঞ্চনায় পৃথিবী আজ বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে ।পুলিশ যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের নিরাপত্তা রক্ষী তেমন আইনের রক্ষক ও বটে। অপরাধী কে চিহ্নিত করন করার পর আটক করে, আইনত শাস্তির আওতায় আনাই তার কাজ। কিন্তু এমনটা করতে গিয়ে কখনো কখনো পুলিশ তার ইউনিফর্মের ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রবল আক্রোশে অমানবিক আচরণ করে বসেন অনেকে।ফের পুলিশের অমানবিক চিত্র প্রকাশে এলো মুরশিদাবাদ জেলার লালগোলা থানাই,পুলিশের একের পর এক দৈনন্দিন সাধারণ মানুষের উপরে, অমানবিক যুলম,মিথ্যা,মামলা, ও প্রহসন চালিয়ে যাচ্ছে দিবারাত্রি। ঠিক আবারো পুলিশের তারা খেয়ে জলাশয়ে মরন ঝাঁপ এক তরুণ তাজা যুবুকের ।জাল ফেলে দেহ খুঁজতে তৎপর হয়ে উঠেছে গোটা গ্রামবাসি।ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে লালগোলা থানার নসিপুর এলাকায়।

    বিশেষ সূত্র মারফত জানাজায় স্থানীয় গ্রামের একটি ফাঁকা মাঠের বাগানে গোপনে জুয়া খেলার ঠেক বসেছিল। সেখানে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হটাৎ অভিযান চালায় লালগোলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এসে এসেই শুরু হয় ধরপাকড়,পুলিশের লাঠির ঘায়ে দিক বেদিক ছুটাছুটি শুরু করে দেয় সকলেই।এবং একাধিক ব্যাক্তি ক্ষত,ও আহত হয়। এরই মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান জুয়ার আসরের পাশে উপস্থিত থাকা যুবক পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি, শহীদুল হক বয়স আনুমানিক (৩৭)। জানাজায় ওই যুবক পুলিশের মারে ও ভয়ে ছুটে পালাই,পালাতে পালাতে এক জলাশয়ে পরে যায়। তার পর থেকে তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই নিয়ে গুঞ্জন কি হলো সেই যুবুক?কোথায় গেলো?প্রশ্ন পুলিশের উপরে? নাকি পুলিশের এই অমানবিক অত্যাচারে মৃত হয়েছে ওই যুবকের? সহিদুলের পরিবার নিঃস্ব একাই কর্মুঠে ছিলেন তিনি,তার তিন সন্তান ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী,পরিবারের সাহারা একমাত্র ছিলেন তিনি, দুঃখিনী মায়ের মুখে দুই বেলা দুই মুঠু ভাত তুলে দিতেন সেই সহিদুল।নেই বাবা কি হবে পরিবারের।নিঃস্ব আজ সহীদুলের পরিবার। এছাড়াও তিনার স্ত্রী সহ্ গ্রামবাসী পুলিশের উপরে সম্পূর্ণ অভিযোগ ছুড়ে দিয়েছেন। তিনারা বলেন পুলিশ ,সেই মৃত পরিবারের স্ত্রী,সন্তান,মা ও গ্রামবাসীদের না দেখিয়ে নিয়ে চলে যায় ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ,স্থানীয় শাসক দলের নেতাদের মদতে। এ যেনো চুরি করে চুপি সাড়ে নিয়ে গেলো মৃত দেহ অভিযোগ পরিবার ও গ্রাম বাসীর। রক্ষক যখন ভক্ষক, সমাজ,আইন,আজ কোথায় কি হবে জন সাধারণের।মানবতা মনসত্ব আজ লজ্জিত,মানবতা আজ ভূলুণ্ঠিত।