সোনামুখী ব্লকের বিজয় সম্মেলন

সঞ্জয় মন্ডল, বাঁকুড়া : দল ও দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবার গোটা রাজ্যের প্রতিটি ব্লকের বিজয়া সম্মেলনের দিন ও তারিখ নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন। গত ৭ ই অক্টোবর থেকে ১৫ই অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিটি রাজ্যের ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি কে বিজয়া সম্মেলন করার করার কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন।এই নির্দেশের পাশাপাশি তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকের বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের নির্দিষ্ট করে দেওয়া নেতা ও মন্ত্রীরা বিভিন্ন এলাকার বিজয় সম্মেলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। রাজ্যের এই নির্দেশ মেনে বাঁকুড়া জেলার দুটি সংগঠনিক বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর এর অন্তর্গত প্রতিটি ব্লকেই ৭ই অক্টোবর থেকে বিজয়া সম্মেলনের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়। আজ শেষ দিনের শেষ বেলায় সোনামুখী ব্লকের বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হয় ধুলাই উচ্চ বিদ্যালয়ে। আজকের এই বিজয়া সম্মিলনী তে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিকের সভাপতি সুব্রত দত্ত, চেয়ারম্যান বিক্রমজীৎ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা , সোনামুখী ব্লক সভাপতি দিব্যেন্দু সেন সহ তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিকের সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন বিগত দিনের সমস্ত দোষ ত্রুটিকে সংশোধন করে ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে সোনামুখী বিধানসভা জিততেই হবে। ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির যোগ করে আজ থেকেই মাঠে নামার আহ্বান জানান জেলা সভাপতি। প্রধান বক্তা হিসেবে রাজ্যের বনমন্ত্রী বীররাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রতিটি এলাকায় প্রতিটা পরিবারের মানুষের জন্য সার্বিক উন্নয়ন করেছেন। কিন্তু তৃণমূল নেতা ও কর্মীরা সেই উন্নয়নের বার্তা কে মানুষের কাছে সঠিকভাবে প্রচার করতে না পারার কারণেই সোনামুখী বিধানসভা তৃণমূলের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। এই মঞ্চ থেকে তিনি বলেন সোনামুখী বিধানসভা কোনভাবেই যেন তৃণমূলের হাত থেকে বেরিয়ে না যায়। আজকের অনুষ্ঠানে প্রতিটা বক্তার গলাতেই ছিল এক সুর, যেভাবেই হোক আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ব্যাপক সাফল্যের শরিক যেন সোনামুখী বিধানসভা হতে পারে তা নিশ্চিত করতেই হবে। আজকের বিজয় সম্মেলনে অনুষ্ঠানে মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মত।