১১তম আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েরা দিবস উদযাপিত বর্ধমানে।

লুতুব আলি, বর্ধমান : ১১ তম আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েরা দিবস উদযাপিত বর্ধমানে। ১১ তম আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েরা দিবস উদযাপিত হল বর্ধমানের কাঞ্চন নগর দিননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে। ১১ ফেব্রুয়ারি এই বিদ্যালয়ে এই দিবসের নান্দনিক সূচনা পর্বে দেবলীনা ঘোষ দেশাত্মবোধক বন্দেমাতরম উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন। স্বাগত ভাষণে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত বলেন, মেয়েরাও আজকের যুগে রোল মডেল হিসেবে এগিয়ে আসছে। ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলার কাজে এঁরা সকলেই কাজ করে চলেছেন। অনুষ্ঠানের তিনজন আইকন ছিলেন যাঁরা বিজ্ঞান বিষয়ে জীবিকা বেছে নিয়েছেন। প্রথম আইকন সেরা বাজারের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা দ্যুতি কোনার বলেন, যারা আমার সামনে বসে আছে তারা একদিন বড় হবে। বড় হতে গেলে নিজেদের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন হতে হবে। ফিমেল হাইজিন নিয়ে তিনি সতর্কবার্তা দেন। ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন মেয়েদের বড় শত্রু। দরকারে পি সেফ ব্যবহার করা দরকার। অন্যতম আইকন স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক নুরুন্নেসা বলেন, খারাপ ব্যাপারে মেয়েদের না বলা শিখতে হবে। সুন্দরকে হ্যাঁ বলতে হবে। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্তের ভুয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, মেয়েদের সমস্যা নিয়ে তিনি নানাভাবে কাজ করে চলেছেন। দেশের রাষ্ট্রপতি, মুখ্যমন্ত্রী এবং অনেক মেয়েরা গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন আছেন। এমনকি মেয়েরা মহাকাশেও পাড়ি দিচ্ছেন। গ্রামীণ ক্ষেত্রে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা তিনি জানিয়ে আরও বলেন, এই অঞ্চলের জন্ম থেকে নারীর কম হিমোগ্লোবিন। এগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ফিজিক্যালি আর মেন্টালি ঠিকমত গ্রোথ হলে তবে বিয়ের কথা ভাবা উচিত। সেদিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ করে মেয়েদের ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয়ের উপর যে বার্তা দেওয়া হয় তাতে উপস্থিত সকলেই খুশি হয়েছেন।