দুর্ঘটনা আক্রান্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের পাশে দাঁড়ালেন জেলা পুলিশ সুপার

আজিজুর রহমান, গলসি: আকস্মিক দুর্ঘটনায় আহত সিভিক ভলান্টিয়ার বিষ্ণুপদ কর্মকারের পাশে দাঁড়ালেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস। তাঁর নির্দেশে মঙ্গলবার ডিএসপি (ক্রাইম) সুরজিৎ মণ্ডল বিষ্ণুর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে এক লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। পুলিশি সাহায্য পেয়ে খুশি হয়ে বিষ্ণুপদ বলেন, “পুলিশ আমার পাশে দাঁড়িয়ে বড় উপকার করেছে। এই কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য আমাদের ওসি স্যার ও পুলিশ সুপার স্যারকে ধন্যবাদ জানাই।”

    পুলিশ জানায়, ৫ই জুলাই ২০২৩ তারিখে গলসি থানার সিভিক ভলান্টিয়ার বিষ্ণুপদ কর্মকার ট্রাফিক ডিউটি শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় আকস্মিকভাবে দুর্ঘটনার শিকার হন। ঘটনার জেরে তাঁর ডান হাঁটুতে গুরুতর চোট লাগে। দীর্ঘ চিকিৎসার পর ২৮শে নভেম্বর ২০২৪ তারিখে বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর হাঁটুর অস্ত্রোপচার করা হয়। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, অপারেশনের পরে দুর্ভাগ্যবশত, বিষ্ণুপদর পায়ে সংক্রমণ দেখা দেয়। পা ফুলে যাওয়া ও তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়। এরপরই চিকিৎসকেরা দ্রুত উন্নত চিকিৎসা ও পুনরায় অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। যার জন্য প্রায় ২.৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন ছিল। অনেক চেষ্টার পর ১.৫ লক্ষ টাকা জোগাড় করেন বিষ্ণুপদ।

    এরপর স্থানীয় এক ব্যক্তি বিষ্ণুপদের চিকিৎসার জন্য অর্থসংগ্রহের উদ্দেশ্যে “গলসি নাগরিক সমাজ” নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করে ১ লক্ষ টাকা সাহায্যের আবেদন জানান। সেখানে বেশ কয়েকজন সাহায্যও করেন। পোস্টটি নজরে আসে গলসি থানার ওসি অরুন কুমার সোমের। তিনি বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাসকে জানান। এরপরই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ডিএসপি (ক্রাইম) সুরজিৎ মণ্ডল বিষ্ণুপদের বাড়িতে এসে এক লক্ষ টাকা তুলে দেন। ওসির প্রচেষ্টা ও জেলা পুলিশ সুপারে মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।