|
---|
সঞ্জয় মন্ডল , বাঁকুড়া : হাতে গোনা কয়েক , তার পরেই শুরু হয়ে শুরু হয়ে যাবে বাঙালি তথা বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো । যদিও সারা বছরই লেগে থাকে বাঙলির কোন না কোনো উৎসব। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে যে ” বাঙলির বরো মাসে তের পার্ব্বণ”।আরো বলা যায় যে দূর্গাপুজোর মধ্যে দিয়েই বাংলা তথা বাঙালীর উৎসব যাপন শুরু হয়, আর শেষ হয় চৈত্রের গজন ও চড়কের মধ্যে দিয়ে। তাই দুর্গাপুজো বাজার অর্থনীতিকে ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত করে।পুজো চারদিন শুধু নূতন জামা কাপড়ই নয়, এই সময় বাংলার মানুষ নিজেকে সাজানোর পাশপাশি ঘর বাড়ী মেরামত, নূতন রঙ করানো , নূতন ফার্নিচার থেকে শুরু করে ঠাকুরের নূতন বাসন পত্র থেকে স্বর্ণালঙ্কার , সব দোকানেই ভিড় জমায়। পেট রোগা বাঙালি পুজোর সময় জিবের স্বাদ বোলানোর জন্যে বহু আগেই পরিকল্পনা করে রাখে।সেলিব্রিটি দের মত হয়তো পুজো চারদিনকি কোন দিন কি খাবে , কি পরবে তার আগাম পরিকল্পনা না থাকলেও বাংলার প্রায় প্রতিটা মানুষ নিজের সাধ্য মত কখনো বা সাধ্যের বাইরে গিয়েও স্ত্রী ও সন্তান দের মুখে হাঁসি ফোটাতে অনেক টাই বাড়তি খরচ করে। সব মিলিয়ে এটা বলা যেতেই পারে দুর্গা পুজোকে সামনে রেখে বেশিরভাগ দোকানে বেচাকেনা ভালই হয়। এই সব কথা মাথায় রেখে রাজ্য উপভোক্তা দপ্তরের পক্ষ থেকে ক্রেতা দের সুরক্ষা কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বছরের অন্যান্ন সময়ের মত পুজোর সময় একটু বিশেষ গুরুত্ব সহকারে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় , পৌরসভা, গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় গড়ে ওঠা বাজার , দোকানে পরিদর্শন করে, বিভিন্ন দ্রব্যের পরিমাণ, পরিমাপ, সর্বোচ্চ বিক্রিত মূল্যের থেকে বেশী দামে বিক্রি করা হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে বিশেষ নজরদারি চালানো হয়।এই রকম একটি রুটিন ভিজিটে বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া ব্লকের পখন্না গ্রাম পঞ্চায়েতের পখন্না গ্রামের একাধিক দোকান পরিদর্শন করেন উপভোক্তা দপ্তরের অধীনস্থ লিগ্যাল মেট্রলজি বিভাগের আধিকারিক সহ বিভাগের বিভিন্ন দ্বায়িত্বে থাকা কর্মীরা।এলাকার বিভিন্ন দোকানে ওজন বাটখারা ,ইলেট্রিক ও ইলেকট্রনিক তুলাদণ্ডের রিনুয্যাল কাজগ পত্রের পরীক্ষা করেন তারা। ” সংশ্লিস্ট বিভাগের আধিকারিক রাজন সাহা জানান এই কাজ তারা বছরের বিভিন্ন সময় তারা ফিল্ডে এসে করেন, এতে করে উপভোক্তাদের অধিকার সুনিশ্চিত করার পাশপাশি ব্যবসায়ী রাও যাতে নিয়ম করে ওজন পরিমাপের যন্ত্র টির স্বাস্থ্য টি পরীক্ষা করালে যাতে করে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা কমে যায়।এতে করে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে বিশ্বাস ও নির্ভরতা নির্ভরযোগ্য হয়ে ওঠে ও ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধির সম্ভাবনা বহু গুণ বৃদ্ধি পায়”।এদিনের উপভোক্তা দপ্তরের আধিকরিক দের সাথে উপস্থিত ছিলেন বড়জোড়া থানার অন্তর্গত পখন্না পুলিশ ফাঁড়ির চার্জে থাকা অফিসার সহ পুলিশ কর্মী রা।