ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি,মমতার শপথেও ছিল তৃণমূলের মৃতদের পরিবার

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: সাংবিধানিক পদের রাজনীতিকরণের অভিযোগে মোদির শপথ গ্রহণে থাকছেন না মমতা। অথচ ইতিহাস বলছে, তৃণমূলের মৃতদের পরিবার আসছে শুনেও মমতার শপথগ্রহণে এসেছিলেন বুদ্ধদেব।

    মোদির বেলায় ‘কালো’, আর নিজের সব কিছুই ভালো। প্রথমে সাংবিধানিক সৌজন্য রক্ষার খাতিরে আসবেন বলেছিলেন। কিন্তু মোদির শপথ গ্রহণে রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত বিজেপি কর্মীদের পরিবার আসবে শুনে ভোল বদলালেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রীর মতো সাংবিধানিক পদের অনুষ্ঠানেও রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে। সেকারণে আমন্ত্রণ পেয়েও নরেন্দ্র মোদির শপথে আসবেন না তিনি।যদিও রাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে অন্য কথা।

    বিজেপির দাবি, ২০১১ সালে রাজ্যে বামফ্রন্টকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল।২০ মে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসায় বলি হ্ওয়া পরিবার। বেছে বেছে আনা হয়েছিল সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে মৃত তৃণমূল কর্মীদের পরিবারকে। রাজ্যের তৃণমূল কর্মীদের মৃত্যুর জন্য সরাসরি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দায়ী করেছিলেন মমতা।সব জেনেও মমতার শপথগ্রহণে উপস্থিত হয়েছিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছাড়াও বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।বিজেপি নেতাদের প্রশ্ন, সেদিন রাজ্যে সাংবিধানিক পদমর্যাদার রাজনীতিকরণ হয়নি ?
    আজ প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসার বলি ৫৪ বিজেপি কর্মীর পরিবার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে রাজ্যের কী অবস্থা তা তুলে ধরতেই এদেরকে দিল্লি নিয়ে গেছে রাজ্য বিজেপি।যদিও গতকালই ট্যুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, এই ৫৪ জন রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসার বলি হননি। এরা সকলেই পারিবারিক বিবাদ বা ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে মারা গিয়ে থাকতে পারেন। বাংলায় কেউ রাজনৈতিক হিংসার বলি হননি।

    যদিও বিজেপির দাবি, বাংলায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক হিংসার বলি হযেছেন তাঁদের ৮০ জন কর্মী।  ১০০০-এর বেশি কর্মীকে এখনও মিথ্যে মামলায় জেলে আটক রাখা হয়েছে।তবে বিজেপির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তূণমূল নেতূত্ব।তাঁদের পালটা দাবি, মোদির শপথ গ্রহণে বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার বলিদের তুলে ধরার ইচ্ছে থাকলে তৃণমূলের মৃত কর্মীদের পরিবারকেও ডাকা হত শপথ গ্রহণে।

    রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বলছে, লোকসভা নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল।২২ আসনে থমকে গিয়েছে ঘাসফুলের বিজয়রথ।অন্যদিকে, ২ থেকে ১৮ আসনে উঠে এসেছে বিজেপি।অদূর ভবিষ্যতে তাই পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করছে মোদি-অমিত শাহরা।আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যে মমতা বিরোধী হাওয়া তৈরি করতে সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।