বেহাল অবস্থায় কুলতলির কৈখালি রামকৃষ্ণ সহায়ক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র

বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : কুলতলি ব্লকের অধিন গোপালগঞ্জ অঞ্চলের সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার কৈখালি রামকৃষ্ণ সহায়ক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন বেহাল অবস্থায়। ঠিকমতো ডাক্তারের দেখা মেলে না একজন ফার্মাসিস্ট খাতায় কলমে আছে কখনোবা তিনি রোগী দেখেন ঔষধ দেন একই বিল্ডিং এ একটি সাব সেন্টার আছে সেখানে নিয়মিত ফাস্ট অ্যান্ড সেকেন্ড ANM ও আশা দিদিরা গর্ভবতী মায়েদের সর্বদা পরিষেবা দিয়ে থাকেন। অপর দিকে ভুবনেশ্বরী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি, কয়েক কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ হয়েছিল। আজ তার চারি দিকে ঘাস ও নোংরা স্তুপের উপর দাড়িয়ে আছে। কোথাওবা রিপেয়ারিং এর অভাবে তা খসে খসে ঝরে পড়ছে। ডাক্তার বাবু নার্স ফার্মাসিস্ট সবই খাতা কলমে থাকলেও দেখা পাওয়া দুষ্কর। অধিকাংশ সময়ে খোলা থাকলে ও ঠিক ঠাক পরিষেবা না মেলায় রুগির দেখামেলা ভার।

    অপরদিকে দেউলবাড়ী দেবীপুরের কাঁটামারী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র টি নবরূপে সজ্জিত। সেখানে ডাক্তারবাবুদের দেখা পাওয়া যায় না । এলাকার মানুষ জন দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক পরিষেবা টুকু সঠিক ভাবে পাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। মৈপিঠ কোস্টাল থানার গঙ্গার ঘাট সংলগ্ন এলাকার মানুষজন প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আসতে হয় প্রায় ৩৩ কিলোমিটারের অধিক পথ অতিক্রম করে কুলতলির জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে। আর এখানে গাইনি চিকিৎসক না থাকায় অধিকাংশ গর্ভবতী মাকে প্রসবের জন্য জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন ডাক্তার বাবু রা। জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারি হলেও সিজারের জন্য জেলা হাসপাতালে গর্ভবতী মায়েদের পাঠিয়ে দেয়, এতে গর্ভবতী মায়ের অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন নিকটবর্তী বেসরকারি নার্সিং হোম গুলিতে ভর্তি করেন।আর সেই সুবাদে তারা ঐ সমস্ত গর্ভবতী কিংবা প্রসূতি মায়েদের কাছে ব্যাপক অঙ্কের টাকা দাবি করে। নুন আনতে পান্তা ফুরানো দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবার গুলির কাছে চাপিয়ে দেয় অধিক পরিমাণে টাকার বোঝা। নার্সিংহোমের বিল মেটাতে জমিজমা সোনা গয়না এমনকি অধিক চড়া সুদে টাকা ধারে নিতে হয় তাদের। কাছাকাছি সরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঠিক মতো পরিষেবা না পাওয়া সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার সাপে কামড়ানো রুগি, বাঘে আক্রান্ত রুগী খুবই অল্প সময়েই চিকিৎসা করা দরকার তা না হলে বিপদ বাড়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। কারন জয়নগর রুরাল হাসপাতালে যেতে যেতে রুগীর অবস্থা মরণাপন্ন। জামতলায় অবস্থিত জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে ডাক্তার বাবুদের থাকার একটি মাত্র কোয়ার্টার আছে যে কোন দিন তা ভেঙে পড়তে পারে। মানুষের স্বাস্থ্যের মৌলিক অধিকার অথচ সুন্দরবন বাসী বঞ্চিত অবিলম্বে কুলতলিতে মডেল হাসপাতাল চালু হোক।