আদি স্যারের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ মুর্শিদাবাদের তারানগর।

সংবাদদাতা : মুর্শিদাবাদের লালগোলার তারানগর এলাকায় পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙন ধীরে ধীরে দুর্যোগের রূপ নিয়েছে। এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী ও সাহিত্যিক জহিরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক মাস ধরে একের পর এক বাড়িঘর, কৃষিজমি এবং ফসলি জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। এই ত্রাণ বিতরণের মুল উদ্যোগতা বিশিষ্ট মোটিভেটর স্পিকার, শিক্ষক আবেদিন হক আদি বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে রাতে ঘুমাতে পারি না, ভাবছি বন্যা কবলিত মানুষের কি করা যায়। এইভাবেই কিছু বন্ধুর সহায়তা নিয়ে মানবিক কাজে বেরিয়ে পড়লাম।এটা বিশাল কিছু নয়,তবুও আমাদের এই সামান্য খাদ্য সামগ্রী সানন্দে গ্রহণ করলে সম্মানিত হবো।

    সিরাতের রাজ্য সম্পাদক ও বিশিষ্ট শিক্ষক আবু সিদ্দিক খান বলেন, ইতিমধ্যেই শতাধিক পরিবার গৃহহীন ও নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। ফসল, চাষবাস জীবজন্তু ইত্যাদি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রামের মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। আজ আরও ভয়াবহ অবস্থা পরিলক্ষিত হলো।

    এই পরিস্থিতিতে উত্তর ২৪ পরগনার শিক্ষা, সেবা ও সমাজসেবামুলক সংস্থা ‘সিরাত’ মানবিক উদ্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার শিক্ষক আবেদীন হক আদিসহ সংস্থার একদল সদস্য তারানগরে এসে প্রায় ২০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে চাল, ডাল, আলু, তেল, সয়াবিন, লবণ, বিস্কুট ইত্যাদি খাদ্য প্যাকেট তুলে দেন।

    স্থানীয় কিছু শিক্ষক এবং সমাজকর্মীর সহায়তায় ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কেবল ত্রাণ নয়, ভাঙনের দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ এবং স্থায়ী পুনর্বাসন পরিকল্পনা প্রয়োজন। তারা আরও বলেন, নদীর গতিপথ নিয়ন্ত্রণের জন্য কংক্রিট বাঁধ নির্মাণ ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। ত্রাণ পাওয়া গ্রামবাসীদের অনেকেই বলেছেন যে তাদের ঘরবাড়ি হারানোর পর তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন। এই সামান্য পরিমাণ সহায়তা তাদের জন্য অনেক বড় কিছু প্রাপ্তি। অন্তত কয়েক দিনের জন্য হলেও, এটি খাদ্য সংকট থেকে মুক্তি দেবে। উত্তর ২৪ পরগনার সিরাতের এই সহায়তা আমাদের আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে গেল।যারা এই ত্রাণ কাজে সহযোগিতা করেছেন, হাশিমিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাডেমির সুপার মোফাসসির হোসেন, নিউ আবরণীর কর্ণধর আবেদ আলি,এসএসআইটির সাবির আলি, সমাজসেবী হাজি আমজাদ আলী, ডাক্তার সেলিম আক্তার, শিক্ষক মোঃ কারিমুল্লাহ, উবাইদুর রহমান, ফলদি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ সাহেব।