কলকাতা বইমেলায় ‘আল কোরআন একাডেমী লন্ডনের বিনামূল্যে অনূদিত কুরআন বিতরণের স্টল।

নিজস্ব সংবাদদাতা : আল কোরআন একাডেমী’ লন্ডনের অনুবাদকৃত পবিত্র ‘কোরআন মাজীদ’ বিতরণে সাড়া ফেলেছে ৪৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় ৬৬১ নং স্টলে। মেলার শুরু থেকেই দ্য কুরআন স্টাডি সার্কেলের স্টলে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদকৃত কুরআন গ্রহণ করার জন্য মানুষের ভিড় ও গভীর আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বইমেলার শুরুর দিন আল কোরআন একাডেমির লন্ডনের চেয়ারম্যান হাফেজ ডঃ হাফিজ মুনির উদ্দীন মনিরুদ্দিন সাহেবের হাত দিয়ে ফিতে কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পূর্বে কয়েক হাজার কোরআন বিতরণ করা হয় বলে জানিয়েছেন রাজ্যের কনভেনার মুহাম্মদ রাকিব হক। উল্লেখ্য, কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় এই দ্বিতীয়বারের জন্য দ্য কুরআন স্টাডি সার্কেলের এহেন উদ্যোগ সকলের কাছে প্রশংসিত চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অনুবাদকৃত কুরআন শুধুমাত্র মুসলিম নয় ৯৫% অমুসলিম পাঠক আনন্দের সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদকৃত কুরআন। প্রতিদিন প্রায় দু হাজার করে কোরআন বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দ্য কুরআন স্টাডি সার্কেলের কনভেনার মাওলানা মুহাম্মদ রাকিব হক। আল কুরআন একাডেমী লন্ডন অনুবাদকৃত বাংলা, ইংরেজি, উর্দু, হিন্দি, নেপালি-সহ প্রায় সাত ভাষায় অনূদিত কুরআন শরীফ বইমেলায় আগত আগ্রহী সব জাতি-ধর্ম-বর্ণ মানুষকে বিনামূল্যে উপহারস্বরূপ তুলে দেওয়ার জন্য এই স্টলের আয়োজন করা হয়েছে।

    আল কুরআন লন্ডন একাডেমির চেয়ারম্যান হাফেজ মনিরুদ্দিন কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় এসে আপ্লুত এবং তিনি জানান প্রতি দুই সেকেন্ড অন্তর অন্তর পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তেই একটি করে কোরআন বিতরণ চলছে।দ্য কুরআন স্টাডি সার্কেলের প্রায় দশ জন করে সদস্য প্রতিদিন মেলায় এই স্টল পরিচালনা করছেন। অনেক গ্রাহকের মতামত তারা এই অনুবাদ কোরআন পড়ার জন্য অনেক দিন ঘুরেছেন কিন্তু কোথাও পায়নি আজ এই কুরআন পেয়ে তিনি অনেক আপ্লুত এবং কোরআনকে অনুধাবন করার জন্য প্রচেষ্টা চালাবেন বলে মত ব্যক্ত করেন। উক্ত প্রসঙ্গে শংকর চ্যাটার্জি বলেন, গীতা,বেদ পড়েছি কিন্তু কোরআন পড়া অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল, আজকে তা নিজের মাতৃভাষায় পেলাম।আমি সত্যিই খুবই আনন্দিত।অলক দাস বলেন, সর্ব ধর্মের ধর্মগ্রন্থগুলোর জ্ঞান রাখা উচিত তাই আমি এটা নিয়ে যাচ্ছি আমার সন্তান দিন পড়াবো বলে নিজে পড়বো বলে।অমিত কুমার দে বলেন, অনেকদিন ধরে খুঁজছি জানবো বলে কুরআনে কি লিখা আছে। আজকে সেটা হাতে পেলাম। আমি খুবই আনন্দিত।এই বিষয়ে মোহাম্মদ রাকিব হক বলেন, আমরা সারা বছর ধরে আরবি- বাংলা অনূদিত কুরআন মাজিদ মানুষের কাছে গ্রামে গ্রামে ক্যাম্প করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়,কলেজ,মাদ্রাসা ও মিশন দিয়ে থাকে কিন্তু আমরা এই স্টল থেকে সেটা দেয়ার মত সামর্থ আমাদের নাই।