রেল চলুক দিঘি বাঁচুক

সেখ আব্দুল আজিম, হুগলি : দাবিতে জেলার বিভিন্ন স্টেশনে প্রচারপত্র বিলি৫২ বিঘার জলাশয় ভাবাদিঘি, যাকে ঘিরে ভাবাদিঘি গ্রাম, সেই পুরো গ্রামে ২৬৮টি পরিবারের বাস। যাঁরা সবাই তফশিলি সম্প্রদায়ের, ওঁরাই দিঘির মালিক। ওই ৫২ বিঘার জলাশয় ভাবাদিঘিকে কেন্দ্র করেই তাঁদের গ্রামের জীবিকা অর্থাৎ মাছের চাষ, পাশাপাশি দিঘিকে ঘিরে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় যাপনও চলে। ভাবাদিঘিকে কেন্দ্র করে জলজ উদ্ভিদ, জলচর প্রাণী, পাখি, স্থলচর প্রাণী ও দিঘির চারপাশে প্রচুর গাছ নিয়ে একটি ইকোসিস্টেম বা জীববৈচিত্রের বাস্তুতন্ত্র বিদ্যমান। কিন্তু ভারতীয় রেল কর্তৃক প্রস্তাবিত ভাবাদিঘির উপর দিয়ে যাওয়া রেলপথ এই সব ধ্বংস করে দেবে।
বাধ্য হয়ে দিঘি বাঁচাতে গ্রামের মানুষ দীর্ঘ ষোলো বছর ধরে আন্দোলন করছেন। এক অসম লড়াই দিঘিটিকে আজও বাঁচিয়ে রেখেছে। কিন্তু ভাবাদিঘি গ্রামের বাইরের মানুষের সহযোগ ছাড়া দিঘি বাঁচানো সম্ভব নয়। তাই হুগলী জেলার বিভিন্ন গণসংগঠন একত্রিত হয়ে গড়ে তুলেছে ভাবাদিঘি বাঁচাও সহযোগী মঞ্চ। ইতিমধ্যে ঐ মঞ্চ কিছু কর্মসূচি নিয়েছে। ভাবাদিঘির বাইরে আন্দোলনের বিষয়টি জনসমক্ষে আনতে জনমত গঠনের লক্ষে ভাবাদিঘি বাঁচাও সহযোগী মঞ্চের পক্ষ থেকে আগামী ৩০ ডিসেম্বর জেলার বিভিন্ন রেলস্টেশনে প্রচারপত্র বিলির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যে স্টেশনগুলোতে প্রচারপত্র বিলি করা হবে তার মধ্যে অন্যতম, প্রচারপত্র যেখানে যা দেওয়া গেছে-
চুঁচুড়া, ডানকুনি, জনাই, গোবরা,কামারকুন্ডু, ভদ্রেশ্বর, উত্তরপাড়া আরামবাগ, হরিপাল, সিঙ্গুর, তালপুর, মগরা, ব্যান্ডেল শেওড়াফুলি, বৈদ্যবাটী, বাঁশবেড়িয়া, চন্দননগর, নালিকুল কোন্নগর, হিন্দমোটর রিষড়া। ঐ কর্মসূচিতে সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।