| |
|---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : সমাজকর্মী জুলফিকার আলি পিয়াদা স্বর্ণপদকে সম্মানিত,সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য স্বর্ণপদকে সম্মানিত হলেন সমাজকর্মী জুলফিকার আলি পিয়াদা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রখ্যাত মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘প্রতিভা সন্ধানে’-র ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে তাঁকে এই সম্মান প্রদান করা হয়। গত ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) কলকাতার মৌলালি যুব কেন্দ্র অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি ছিল একটি আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন। উক্ত অনুষ্ঠানে জুলফিকার আলি পিয়াদা ছাড়াও সমাজ ও সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিক গুণী ব্যক্তিত্বকে স্বর্ণ, রৌপ্য ও সাধারণ সম্মানে ভূষিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামল সেন, বিশিষ্ট সাহিত্যিক মিরাতুন নাহার, কলকাতা পৌরসভার মেয়র পরিষদের সদস্য দেবাশীষ কুমার-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। সম্মেলনে নেপাল, বাংলাদেশ, ভুটান, মায়ানমার, জাপান, শ্রীলঙ্কা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ প্রায় ১৪টি দেশ এবং ভারতের দিল্লি, রাজস্থান, মেঘালয় ও অসম-সহ প্রায় ৮টি রাজ্যের সাহিত্যিকদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে আন্তর্জাতিক মাত্রা প্রদান করে।
পত্রিকার সম্পাদক ইউসুফ আলী মোল্লা-র তত্ত্বাবধানে সফলভাবে এদিনের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ঢেলাহাট থানার অন্তর্গত লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের ভূমিপুত্র জুলফিকার আলি পিয়াদা ‘মানবতা’ নামে একটি সমাজকল্যাণমূলক সংস্থার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক দায়বদ্ধতার নানা কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অনাথ, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সারা বছর ধরে তাঁর নিরলস সমাজসেবা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।
এই সম্মান গ্রহণ করে জুলফিকার আলি পিয়াদা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান গোল্ডেন জুবিলী অনুষ্ঠান কমিটি এবং পত্রিকার সম্মানীয় সম্পাদক ইউসুফ আলী মোল্লা মহাশয়কে। তিনি বলেন—“এই সম্মান শুধু ব্যক্তিগত নয়—এটি দায়িত্বের, বিশ্বাসের এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকারের প্রতীক। এই সম্মান আমি উৎসর্গ করছি তাঁদের, যাঁদের ভালোবাসা ও সহযোগিতায় ‘মানবতা’ আজ অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে—
আমাদের সকল সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক, দাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের।”এদিনের অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে জুলফিকার আলি পিয়াদা সমাজে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বিশেষভাবে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও শ্রেণী বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই সংকটময় সময়ে সাহিত্যিকদের মেরুদণ্ড সোজা রেখে, কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই সমাজের পক্ষে সত্য ও মানবিকতার কথা বলার দায়িত্ব গ্রহণ করা প্রয়োজন।
সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত, আগামী দিনে ‘মানবতা’ সংস্থা বাংলার সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।


