|
---|
লুতুব আলি, শক্তিগড়, পূর্ব বর্ধমান: ১৭ তম বর্ণময় শক্তিগড় উৎসব শুরু হয়েছে চলবে ২৮ অবধি। বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে শক্তিগড়ের শুরু হয়েছে ১৭ তম বর্ণময় শক্তিগড় উৎসব। ২১ জানুয়ারি এই উৎসবের উদ্বোধন করেছেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিশিথ কুমার মালিক। এদিন বিকালে উৎসবের শুভ উদ্বোধনের প্রাক মুহূর্তে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও মশাল দৌড় শক্তিগড় এলাকা পরিক্রমা করে। এই শোভাযাত্রায় স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরা, শক্তিগড় যুব গোষ্ঠীর সমস্ত সদস্যরা, এলাকাবাসী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা এই শোভাযাত্রায় পা মেলান। সঙ্গে রনপা, ছৌ নৃত্য এবং আদিবাসী লোকসংগীত এই শোভাযাত্রায় পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন শক্তিগড় উৎসব কমিটির সভাপতি তথা বর্ধমান ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দেবদ্বীপ রায়। শক্তিগড় যুবগোষ্ঠীর পরিচালনায় এই উৎসব শুরু হয়েছে। শক্তিগড় যুবগোষ্ঠীর সম্পাদক তথা বর্ধমান ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ ও এই ব্লকের আইএনটিটিইউসি সভাপতি কামরুল হাসান, যুবগোষ্ঠীর সভাপতির শেখ রতন জানান, শক্তিগড় উৎসবকে ঘিরে এলাকায় সাজো, সাজো রব। এইসব এলাকার মানুষের প্রাণের উৎসব হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি সন্দীপ বসু, জামালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, বর্ধমান ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাখি কোনার, বর্ধমান ২ নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পরমেশ্বর কোনার, বড়শুল ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রমেশচন্দ্র সরকার, উপ-প্রধান নাজিরা বেগম সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সন্দীপ বসু ও নিশীথ কুমার মালিক বলেন, রাজ্যের মা মাটি মানুষের জননেত্রী তথা বাংলার নব রূপকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন রাজ্যের সুস্থ সংস্কৃতির বাতাবরণ তৈরি করতে। মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শক্তিগড় যুবগোষ্ঠী ১৭ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে সুস্থ-সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটিয়ে এলাকায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এ দিনের সন্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল টলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী পিয়ান সরকারের সংগীতা অনুষ্ঠান ও নৃত্যানুষ্ঠান। ১৭ তম শক্তিগড় উৎসবের থিম করা হয়েছে, রক্ত দিয়ে করব মোচন, ভেদা ভেদের বহুবচন। শক্তিগড় যুবগোষ্ঠী ও উৎসব কমিটির অন্যতম কর্ণধার শেখ সাবীর আলী জানান, উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের স্টল বসেছে। নাগরদোললা ও অন্যান্য খেলা দেখানোর প্রদর্শনী বসেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে বিশিষ্ট দোকান ব্যবসায়ীরা দোকান বসিয়েছেন। এলাকার মানুষ এই উৎসব মেলা থেকে সারা বছরের দ্রব্য-সামগ্রী কিনে নেন। অনেকেই এই উৎসবের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। বিভিন্ন দিনে থাকছে টলিউডের বিশিষ্ট অভিনেতা, অভিনেত্রীদের অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, সঙ্গীতা অনুষ্ঠান। ২২ জানুয়ারি রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে দুস্থ মানুষদের শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হবে। আগামী ২৮ জানুয়ারি বেলা ২:৩০ মিনিট থেকে অনুষ্ঠিত হবে কবিতা উৎসব।