৭৯ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন মামূন ন্যাশনাল স্কুলে

নিজস্ব সংবাদদাতা : ১৫ই আগস্ট,শুক্রবার স্বাধীনতা দিবস নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও মর্যাদার সাথে বিশিষ্ট ঐতিহাসিক গোলাম আহমাদ মোর্তাজা সাহেব (রহঃ ) প্রতিষ্ঠিত মামূন ন্যাশনাল স্কুলে উদযাপিত হলো ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবস। সকাল আট টায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সানাউল্লাহ মন্ডল। এ উপলক্ষে একগুচ্ছ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সংবিধানের “প্রস্তাবনা” – ইংরাজিতে পাঠ করে শোনায় একাদশ শ্রেণির ছাত্র মহঃ হাবিব সেখ এবং বাংলা তর্জমা পাঠ করে সামিউল মল্লিক (একাদশ শ্রেণি ) অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক গান গায় মহঃ রজব যা সকলকে মুগ্ধ করে।
স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে ইংরেজিতে বক্তৃতা করে সকলকে চমকে দেয় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আয়ান সরকার। দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মহাশয়। তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে আদর্শ জাতি গঠনের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সুপারিন্টেন্ডেন্ট জনাব কাজী মহঃ ত্বসীন সহ অন্যান্য কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

     

    অপরদিকে ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবস মহাসমারহে পালিত হল পানাগড় বালিকা শাখায় । বিদ্যালয়ের এই অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল ন’টায়। উপস্থিত সকল ছাত্রীর সমবেত ভাবে জাতীয় সংগীত পাঠের মধ্য দিয়ে পতাকা উত্তোলিত হয়। পতাকা উত্তোলন করেন কোটা পঞ্চায়েতের প্রধান মাননীয়া ইন্দ্রানী চক্রবর্তী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপপ্রধান মাননীয় সেখ আলাউদ্দিন, বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক -শিক্ষিকা মন্ডলী ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ। কোটা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সেখ আলাউদ্দিন সাহেব ও প্রধান ইন্দ্রানী চক্রবর্তী মহাশয়া আজকের দিন নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। তাঁরা আলোচনায় মরহুম গোলাম আহমাদ মোর্তুজা সাহেবের সমাজের বিভিন্ন অবদান, তাঁর শিক্ষা প্রসারে সুদূর প্রসারী ভূমিকা, মামূন ন্যাশনাল স্কুলের বর্তমানে বিস্তার ও অগ্রগতি এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে এক প্রাণবন্ত আলোচনা করেন।

    এই দিবস উপলক্ষে সময়োপযোগী সুন্দর বক্তৃতা দেন বিদ্যালয়ের এডুকেশনের শিক্ষিকা সাহিনুর খাতুন।
    সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলার শিক্ষিকা সাবিনা শবনম। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ডেকোরেশনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের সকল ছাত্রী। আজকের এই বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান এবং মেয়েদের হাতে তৈরি অপূর্ব সাজসজ্জা উপস্থিত সকলকে বিমুগ্ধ করে। ছাত্রীদের কোরাস সংগীত ‘সারে জাহা
    সে আচ্ছা’ পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়।