বর্ধমান সিএমএস হাই স্কুল (প্রাতঃ)-র ৫৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হল

নিজস্ব সংবাদদাতা : আমানুল্লাহ মহাম্মদ আকবর সাহেব সিএমএ হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠার মূল উদ্যোগী ছিলেন। ২ সেপ্টেম্বর,শনিবার, বর্ধমান সিএমএস হাই স্কুল (প্রাতঃ) -র ৫৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হল। এই বিদ্যালয়টি ইউনিভার্সিটি রোড, বাবুরবাগ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত।
বর্তমান বিদ্যালয়টি নতুন পরিকাঠামো নিয়ে শুরু হয়েছিল ১৮৮৩ সালে। এই নবনির্মিত প্রতিষ্ঠানটি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি রমারঞ্জন মুখোপাধ্যায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন ২ সেপ্টেম্বর।

    বিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মূর্তিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন বর্ধমান রাজ কলেজের প্রাণী বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ডক্টর তারকনাথ শেঠ মহাশয়। উল্লেখ্য যে তিনি এই বিদ্যালয়ে মূর্তিটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে আগেই দান করেছিলেন।

    এই উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি চেয়ারম্যান কাকলী তা গুপ্ত মহাশয়া। বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং শিক্ষক পরেশনাথ সরকার মহাশয়, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা শেখ বসির আহমেদ এবং গুণীজন সহ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মহাশয়রা । বিদ্যালয় এর শিক্ষিকা জয়িতা ব্যানার্জি একটি রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিম আলি মল্লিক স্বাগত ভাষণে বিদ্যালয়ের আগের অবস্থা এবং বর্তমান অবস্থা উপস্থাপন করেন। কিছুটা হলেও বিদ্যালয়টিকে উন্নত করে গেছে। বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্ররা বিবিধ কৌশলে একটি আবৃত্তি পরিবেশন করে। একটি দেশাত্মবোধক গানের কোরিওগ্রাফ পরিবেশন করে বিদ্যালয়েরই ছাত্র জি বাংলা খ্যাত ছাত্র শুভম। পরিবেশিত হয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী মিলে ড. রমজান আলির লেখা ‘এসো সবে মিলি’ শিরোনামের একটি গীতিআলেখ্য। রবীন্দ্র সংগীত থেকে বাউল গানের এই আলেখ্যটি বর্ধমান মিউনিসিপালিটি চেয়ারম্যান দ্বারা প্রশংসিত হয়।।

    এই বিদ্যালয় থেকে পাশ করা ছাত্ররা বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে যুক্ত। বিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্ররা স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন কিভাবে শিক্ষক মহাশয়রা তাদের গড়ে তুলেছেন। এই প্রাক্তন ছাত্র এখন রথতলা মনোহর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

    বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষক আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আকবর মহাশয়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তাঁর কন্যারা ভেষজ উদ্যান পুনর্গঠনে বিশ্বনাথ দাস স্যারের হাতে
    দেড় লক্ষ টাকা এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের হাতে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। বর্ধমান মুসলিম হোস্টেলের হোস্টেলের সুপার হোসনে আরা আকবর সাহেবের কর্মমুখী জীবন নিয়ে আলোচনা করেন। বিদ্যালয়টি আগের অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে উন্নতির লক্ষ্যে। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে শেষে পরিবেশিত হয় ড. রমজান আলি লেখা একটি শ্রুতি নাটক ‘মা আসছেন মা’। ড. আলির মতে , বিদ্যালয় গুলিতে সবার আগে প্রয়োজন সাংস্কৃতিক সাক্ষরতার। প্রশ্ন রাখেন আমরা বঙ্গ সংস্কৃতি ভুলে এ কোন সংস্কৃতিকে আকড়ে ধরছি ?