|
---|
নূর আহমেদ, ১৮ই মার্চ, মেমারী : আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। সোমবার বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী নিরব খাঁয়ের সমর্থনে শহর মেমারিতে অনুষ্ঠিত হলো সিপিআইএমের মিছিল। এদিন মেমারি চকদিঘী মোড় সংলগ্ন লরি ইউনিয়নের সামনে থেকে সিপিআইএম প্রার্থী নীরব খাঁ কে সাথে নিয়ে মিছিল করেন সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা। এরপর মেমারি চকদিঘী মোড় হয়ে কৃষ্ণবাজার, স্টেশন বাজার হয়ে বামুনপাড়া মোড়ে এসে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিল শেষে সেখানে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় বক্তব্য রাখেন সিপিএম নেতা সুকান্ত কোঙার এবং সিপিআইএম প্রার্থী নিরব খাঁ। তার সঙ্গে মিছিলে পা মেলান বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য সনৎ ব্যানার্জি, বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদকমন্ডলী সদস্য অভিজিৎ কোঙার এবং মেমারি পশ্চিম এরিয়া কমিটির সম্পাদক প্রশান্ত কুমার সিপিআইএম নেতা পীযূষ বিশ্বাস পিন্টু ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য দলীয় কর্মী সমর্থকরা।মিছিল থেকে প্রার্থী নিরব খান সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সমস্যার শোনেন। এরপর মিছিল শেষে তিনি জানান নির্বাচনে জয়লাভ করলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানে প্রথম কাজ হবে। সেই সাথে শহর মেমারিতে রেল ওভারব্রিজ সহ অন্যান্য সমস্যাগুলো কেউ গুরুত্বসহকারে সংসদে তুলে ধরে সমস্যার সমাধান করার হবে বলেও তিনি জানান।
এছাড়াও তিনি মিছিল শেষে পথসভা থেকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। হুগলির তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রচনা ব্যানার্জি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজ্যে প্রচুর শিল্প উন্নয়ন হয়েছে বলে রচনা ব্যানার্জি জানিয়েছেন। কিন্তু সেগুলি আদৌ কি শিল্প চপ শিল্প না পকোড়ো শিল্প এ বিষয়ে তার কাছে স্পষ্ট নয়। তিনি মূলত থাকেন কালো কাঁচের মধ্যে। সাধারণ মানুষের সমস্যা জানবেন কি করে? পাশাপাশি বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ডঃ শর্মিলা সরকার প্রসঙ্গে বলেন, “তিনি চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সারাক্ষণ ঠান্ডা ঘরে বসে ঝান্ডা নাড়ানোর চেষ্টা করেন। রাস্তায় নেমে মানুষের সমস্যা কখনো দেখেননি তিনি। আদৌ কি করে মানুষের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবেন?
সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তিনি বলেন সন্দেশখালীর বাদঘ এখনও খাঁচা বন্দি। সন্দেশখালীর মা বোনেরা যে পথে হেটে বেতার বাঘক কে খাঁচা বন্দি করতে সক্ষম হয়েছে, ভোট লুটেরা এগিয়ে এলে সেই পথে হেঁটে আপনারা জবাব দিন। তবেই আপনি আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে পারবেন।
সিপিএম নেতা সুকান্ত কুমার বলেন, তৃণমূল যদি চোর হয় বিজেপি ডাকাত। এই ভাষাতে রাজ্য ও কেন্দ্রকে আক্রমণ করে তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের মুহূর্তে এরা ইডি সিবিআই দিয়ে জুজু দেখানোর চেষ্টা করেন। সি এ এ বিল লাগু করে দেশবাসীকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করতে চাইছে। এইসব পরিকল্পনা বিজেপির বুমেরাং হয়ে ফেরত আসবে লোকসভা নির্বাচনে। রাজ্যের চোর তৃণমূলকে মানুষ উৎখাত করতে সক্ষম হবে। চোর এবং ডাকাতকে সরিয়ে শ্রমিক, কৃষক মানুষের কথা সংসদে বলবে এমন মানুষকে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠানো আবেদন জানান সাধারণ মানুষের কাছে। এদিন বৈকাল ৪টে নাগ সিপিআইএম মেমারী ১ পূর্ব ও পশ্চিম এরিয়া কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়।