ভাসাপুলের দু-তিনশো মিটার পশ্চিমে আন্ডারপাশ তৈরীর সম্ভাবনা

আজিজুর রহমান মল্লিক : এবার হয়তো পুরন হতে পারে গলসির ভাসাপুল এলাকার মানু‌ষের দাবী। প্রাথমিক ভাবে এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তবে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ভাসাপুল মোড়ে তৈরী হচ্ছেনা আন্ডার পাশ। মোড় থেকে ২ থেকে ৩ শো মিটার পশ্চিম দিকে করার আশ্বাস দিয়েছেন ঘটনাস্থলে আসা আধিকারিকরা। স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল সেখ, জাহাঙ্গীর মন্ডল রা জানান, আন্ডারপাশ তৈরীর জন্য বছর খানেক ধরে আন্দোলন করছেন তারা। সেই কথা বর্ধমান দূর্গাপুর লোকসভার সাংসদ কীর্তি আজাদের কাছে পৌছায়। তিনি তাদের দাবীর মুল্য দিতে কয়েকদিন আগে ভাসাপুলে এসেছিলেন। আজ দুপুরেও একটি প্রতিনিধি দল আসেন ভাসাপুল এলাকায়। তারা আন্ডারপাশ তৈরীর বিভিন্ন দিক ক্ষতিয়ে দেখেন। জানতে পারা গেছে, মোড়ে সেচ ক্যানালের মাইনোর ব্রীজ থাকায় ওই জায়গায় আন্ডারপাশ করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। তাছাড়া পূর্ব দিকে হাইটেনশন তার থাকায় সেখানো বেশ অসুবিধা রয়েছে। ফলে সেচ ক্যানালের ব্রীজের ২-৩ শো মিটার পশ্চিমে বেশ কিছুটা জায়গা ফাঁকা আছে। আপাতত প্রাথমিক ভাবে সেখানে করার কথা ভাবছেন সরকারী আধিকারিকরা। প্রতিনিধিদলে ছিলেন গলসি ১ নং ব্লক বিডিও জয়প্রকাশ মন্ডল, গলসি ওসি অরুন কুমার সোম, সাংসদের অফিস ইনচার্জ স্বরাজ ঘোষ। ছাড়াও পি ডাবলু ডি আধিকারিক ও জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষের আধিকারিকরা। প্রাথমিক ভাবে গ্রীন সিগন্যাল পাওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ। গলসি ১ নং ব্লক বিডিও জয়প্রকাশ মন্ডল বলেন, জেলার নির্দেশ ভাসাপুল এলাকায় পরিদর্শন করা হল। জেলার ও জাতীয় সড়কের ইঞ্জিনিয়াররা ছিলেন। মানুষের দাবী শোনা হল। মানুষের চাহিদা পুরনের জন্য বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হল। যাতে স্থানীয়দের দাবী পুরন হয় সেই দিকটা দিকটা ভাবা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি নিয়ে একটি প্রোপজাল তৈরী করে পাঠানোর কথা হয়েছে।