ভোট দিতে বুথে ঢোকার পর প্রিসাইডিং অফিসার জানালেন তাঁদের ভোট হয়ে গিয়েছে!

ভোট দিতে বুথে ঢোকার পর প্রিসাইডিং অফিসার জানালেন তাঁদের ভোট হয়ে গিয়েছে!

     

     

     

     

     

    নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : সকাল সকাল ভোট দিতে গ্রামের অন্যান্য ভোটারদের সঙ্গে তাঁরাও লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন৷ কিন্তু বুথে ঢোকার পর প্রিসাইডিং অফিসার জানালেন, তাঁদের ভোট হয়ে গিয়েছে৷ কারণ তাঁরা নাকি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়েছেন৷ একজন, দু’ জন নয়, পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি বিধানসভার একটি বুথেই ৯ জন ভোটারের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটল৷ ফলে ভোট না দিয়েই ফিরতে হয়েছে ওই ৯ জনকে৷

     

    ওই ৯ ভোটারই অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁদের বাড়িতে কোনও পোস্টাল ব্যালট আসেনি৷ তার থেকেও বড় কথা, তাঁরা কেউই সরকারি কর্মী বা ভোটের কাজে যুক্ত হয়ে অন্যত্র যাননি৷ ফলে তাঁদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না৷

     

    এ দিন এমনই ঘটনা ঘটেছে কেশিয়াড়ি বিধানসভার অন্তর্গত পচাখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ নম্বর বুথে৷ এ দিন সকালে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলে মামনি রজক শীট, আগমনী শীটরা৷ ভোট দেওয়ার জন্য বুথে ঢোকার পর নাম মেলাতে গিয়ে দেখা যায়, এই ভোটারদের নামের পাশে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার কথা লেখা রয়েছে৷ এমন কি, এআরও-র নামে স্ট্যাম্পও মারা রয়েছে৷ তাই ওই ভোটারদের আর ভোট দেওয়া সম্ভব হয়নি৷

     

    যাঁরা ভোট দিতে পারেননি, তাঁদের মধ্যে একজন মামনি রজক শীট বলেন, ‘আমরা কোথাও ভোট দিইনি৷ বুথে ঢোকার পর জানতে পারলাম পোস্টাল ব্যালটে নাকি ভোট হয়ে গিয়েছে৷ আমরা কেন পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেব?’ ওই ভোটারদের দাবি, ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা কর্মী এবং আধিকারিকরাও মেনে নিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের তরফেই কোনও ভুল হয়েছে৷

     

    এই ঘটনায় তৃণমূল- বিজেপি দু’ পক্ষই চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছে৷ তৃণমূল প্রার্থী পরেশ মুর্মু বলেন, ‘কমিশনের উচিত যোগ্য ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারে এটা দেখা৷ এর পরে কী করে মানুষ বিশ্বাস করবে যে অবাধ ভোটগ্রহণ হচ্ছে?’ আবার বিজেপি প্রার্থী সোনালি মুর্মু সোরেনের দাবি, যাঁরা ভোট দিতে পারেননি তাঁদের বেশিরভাগই তাঁদের দলের সমর্থক৷ বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, ‘রাজ্য সরকারের যোগসাজশেই এমনটা হয়েছে বলে মনে হয়৷’ তবে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলের প্রার্থীই কমিশনের কাছে দাবি করেছেন যাতে ওই ভোটাররা ভোট দিতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হোক৷

     

    ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার গৌতম দেব পাত্র স্বীকার করে নেন, ‘নিশ্চয়ই কোথাও কোনও ভুল হয়েছে কমিশনের৷ যাঁরা সরকারি চাকরি করেন বা ভোটের অন্য কোনও কাজে ভোট দিতে পারেন না, তাঁদের জন্যই পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা হয়৷ এক্ষেত্রে তো সেরকম কোনও ভোটার নেই৷’