|
---|
নূর আহমেদ : মেমারি পৌরসভা এলাকায় ফুটপাতের ওপরে যে সকল ব্যবসায়ীরা অস্থায়ী দোকান ঘর অথবা ভ্যান দাঁড় করিয়ে ব্যবসা করত তাদেরকে বেশ কয়েকদিন আগেই ফুটপাত খালি করার জন্য মাইকিং করে জানানো হয় মেমারি পৌরসভার পক্ষ থেকে।
তারপর কোথাও কোথাও দেখা গিয়েছে অনেকেই ফুটপাত থেকে সরে গিয়ে ব্যবসা করতে।
মাইকিং প্রচার হওয়ার পর ফুটপাতের ওপর ব্যবসা করা অনেক ব্যবসা দার তাদের দোকানের মালপত্র সরিয়ে নিয়েছেন ইতিমধ্যেই। এদিন বৃহস্পতিবার ১৮ জুলাই মেমারি পাহারাটি রোডের পাশে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ সংলগ্ন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালালো মেমারি পৌরসভা।
মেমারি পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ীর দাবি যে মেমারি পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করার পর ফুটপাতের ওপরে দোকান করে যারা ব্যবসা করেছিলেন তারা তাদের ব্যবসার জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছিলেন। এদিন মেমারি পৌরসভার পক্ষ থেকে সেই দোকান ঘর গুলি ভেঙে দিয়ে ফুটপাতের উপর থেকে বর্জ্য পদার্থ গুলি সরানো হলো, এবং মেমারি পৌরসভার আবেদনে সাড়া দিয়ে যারা ফুটপাতের উপর থেকে দোকান সরিয়ে নিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানালেন মেমারি পৌরসভার চেয়ারম্যান।কিন্তু ফুটপাতের উপর থেকে ব্যবসা করছিলেন তাদের জন্য কি পুনর্বাসন অথবা অন্য কোন চিন্তা ভাবনা রয়েছে মেমারি পৌরসভার? এর সদুত্তর অবশ্য দিতে পারেননি মেমারি পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী।
কিন্তু মেমারির অন্যান্য রাস্তার উপর যেমন মেমারি বামুনপাড়া মোড়,চকদিঘী মোড়, কৃষ্ণ বাজার স্টেশন বাজার সহ অন্যান্য রাস্তায় যেখানে যানজট লেগেই থাকে সেখানে ফুটপাত দখল মুক্ত না করে যেখানে পথ চলতী মানুষ থেকে শুরু করে যানবাহন চলাচল করতে কোন অসুবিধা হয় না সেখানে আগে কেন উচ্ছেদ অভিযান চালালো মেমারি পৌরসভা? উঠছে প্রশ্ন, আপাতত মনে করা হচ্ছে এই এলাকা থেকেই ফুটপাত দখল মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করল মেমারি পৌরসভা, তবে কি “পিকচার আভি বাকি হে”এদিকে মেমারির টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিস সংলগ্ন এলাকায় অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাতের ওপর বসে ব্যবসা করে দিন গুজরান করতেন। ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে তাদের এখন মাথায় হাত।
অপরদিকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তেই মেমারি পৌরসভার চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত রোশের মুখে পড়লেন মেমারির নতুন বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকার এক ব্যবসায়ী। এমনটাই অভিযোগ ওই দোকানের মালিকের।
ব্যবসাদারের অভিযোগ যে এদিন মেমারি পৌরসভার চেয়ারম্যান তাকে এসে দোকান সরাবার জন্য এক ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন এবং এক ঘন্টার মধ্যে দোকান না সরালে তার দোকান ভেঙ্গে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন। যদিও ব্যবসাদার দাবি করছেন যে তার দোকান ফুটপাত থেকে অনেকটা দূরে এবং এই এলাকায় আরো যে সকল ব্যবসাদার আছে তাদেরকে কিছু না বলে একমাত্র তাকেই শাসিয়ে গেছেন মেমারি পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী।