|
---|
শিলিগুড়ি: পুর নির্বাচনের আগে ফের পোস্টার বিতর্ক শিলিগুড়িতে। চাঞ্চল্য ছড়ালো রাজনৈতিকমহলে। শিলিগুড়ি পৌরনিগমের নির্বাচন ঘোষণার শুরু থেকে বরাবরই বিতর্কের শিরোনামে ২৪ নম্বর ওয়ার্ড। একদিকে ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। অন্যদিকে, টিকিট না মেলায় নির্দল প্রার্থী হয়েছেন বহিস্কৃত তৃনমুল কংগ্রেস নেতা বিকাশ সরকার। শাসকদলের প্রার্থী তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক প্রতুল চক্রবর্তী। তারপরেই এক কিশোরের অপহরণে নাম জড়ায় শাসকদলের দুই নেতার। ফলে সব মিলিয়ে সরগরম ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাজনীতি।
সোমবার সকালে ফের একবার নাগরিকবৃন্দর নামে পোস্টার পরায় চাঞ্চল্য ছড়ায় শিলিগুড়ি পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ভারত নগরে। ওয়ার্ডের বিভিন্ন দেওয়ালে পড়েছে সাদা কালো পোস্টার। কোনো পোস্টারে লেখা রয়েছে “তিনবারের দলবদলু মাদক ব্যবসায়ী দলের ধরেছে হাল”। আবার কোথাও লেখা রয়েছে “পুরনো কর্মীরা ছেড়েছে দল, এখন দলে অপহরণকারী ও বেনোজল।” কোথাও আবার “রাজনীতি যাদের ব্যবসা তাদের বর্জন করুন।” এই ধরণের একাধিক এক এক রকম পোস্টারে সোমবার সকাল থেকেই চাঞ্চল্য ছড়ায় ওয়ার্ড জুড়ে। তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি তো বটেই কোথাও আবার সিপিএমের বিরুদ্ধেও একটিও ভোট মা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে পোস্টারে। ফলে নির্বাচন যতো এগিয়ে আসছে ততই চড়ছে উত্তেজনার পারদ।
এই পোস্টার প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “আমার মনে হয় এই নাগরিকবৃন্দ কারা সেটা তদন্ত করে দেখা উচিৎ। এটা রুচিহীনতার পরিচয়। নাগরিকবৃন্দের নামে রাজনীতি করা হচ্ছে।” ওই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী প্রতুল চক্রবর্তী বলেন, “এসব পোস্টার দিয়ে কিছু হবে না। মানুষ জানে। ফলে এসব পোস্টারে ভোটে কোন প্রভাব পরবে না।” সিপিএমের ৩ নম্বর এরিয়া কমিটির সম্পাদক তিলক গুন বলেন, “এভাবে পোস্টারের আড়ালে রাজনীতি করা উচিৎ না। আর আমাদের দলে কোন দলবদলু নেই। ফলে আমাদের এসবে কোন প্রভাবের বিষয় নেই।” বহিস্কৃত তৃনমুল কংগ্রেস নেতা তথা নির্দল প্রার্থী বিকাশ সরকার বলেন, “মানুষ এদের চিনে গিয়েছে বলেই পোস্টার দিয়েছে। “শাসকদলের হাল এখন অপহরণকারী আর মাদক পাচারকারীদের হাতে। স্বভাবতই মানুষ এদের চাইছে না।”