রায়গঞ্জে নিহত দেবেশ বর্মনের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে জোর তরজা

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে নিহত দেবেশ বর্মনের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে জোর তরজা। কংগ্রেসের দাবি, দেবেশবাবু তাঁদের বুথ সভাপতি ছিলেন। বিজেপির দাবি, খুন হয়েছেন একজন বাঙালি, রাজবংশী, হিন্দু। ওদিকে মঙ্গলবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে দেবেশবাবুর মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।

    মঙ্গলবার সকালে রায়গঞ্জের গৌরী গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বিষ্ণুপুর গ্রামে বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে উদ্ধার হয় দেবেশবাবুর ঝুলন্ত দেহ। মৃতদেহের মুখে মাস্কের মতো করে বাঁধা ছিল তৃণমূলের পতাকা।

    মঙ্গলবার দেবেশবাবুর বাড়িতে যান বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ও রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। সেখানে বাসুদেববাবু দাবি করেন, দেবেশবাবু ভালমানুষ ছিলেন। একজন বাঙালি, রাজবংশী, হিন্দুকে খুন করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর কত রক্ত চাই?

    যদিও পরিবারের লোক থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন মৃত দেবেশবাবু এলাকার বুথ সভাপতি ছিলেন। উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রসের সভাপতি তথা রায়গঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, দক্ষিণ বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা দেবেশ বর্মন কংগ্রেসের শুধু সক্রিয় কর্মীই ছিলেন না তিনি গৌরী অঞ্চলের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর বুথের সভাপতি ছিলেন। সদ্য হয়ে যাওয়া বিধানসভা নির্বাচনে মোহিত সেনগুপ্তের হয়ে ব্যাপক প্রচার ও কাজ করেছিলেন।

    মোহিতবাবু দাবি করেছেন, মৃতদেহের মুখে তৃনমূলের পতাকা থাকা মানে এই নয় যে তৃণমূল খুন করে দলীয় পতাকা মুখে গুঁজে দিয়েছে। এটা অন্য কারও চক্রান্ত হতে পারে। বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার অভিযোগ করে বলেন এরাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের ট্র‍্যাডিশন। একের পর এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে চলেছে তারা। এক্ষেত্রেও একজন বাঙালি হিন্দু রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষকে খুন করেছে।

    ওদিকে মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, মৃতদের ঝুলিয়ে দিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে চাইছে তৃণমূল।