| |
|---|
নিজস্ব সংবাদদাতা, ২৫ নভেম্বরঃ গত দুদিন আগে মেমারির পাল্লা ক্যাম্পের উদয় সংঘের মাঠে সভা করে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ও নেতাদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করে এস আই আর নিয়ে নানা কথা বলেন। আজ সেই মাঠেই পাল্টা সভা করেন তৃণমূল কংগ্রেস। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সভাটি করা হয়। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। ছিলেন জেলা সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, ছিলেন সাংসদ ডাঃ শর্মিলা সরকার, স্থানীয় বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য, ব্লক সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জী, বিধায়ক খোকন দাস, অলক মাঝি সহ জেলার বিধায়করা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যমাপ্রসন্ন লোহার, যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার, ছাত্রদের পরিষদের সভাপতি স্বরাজ ঘোষ, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সন্দীপ বসু, মহিলা সভানেত্রী লীলা মুন্সী সহ সকল শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব, জেলা পরিষদের মেন্টর মহম্মদ ইসমাইল, সমস্ত ব্লকের ব্লক সভাপতিরা। প্রধান বক্তা তাঁর বক্তব্যে বলেন কেউ ভয় খাবেন না, কারোর নাম বাদ যাবে না। সকলের পাশে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন প্রচুর মানুষ ছিন্নমূল হয়ে ওপার বাংলা থেকে মানুষ এখানে এদেশে আছেন বিশেষ করে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষরা। আজ বিজেপি তাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করতে চাইছে। অথচ এই মানুষগুলো এতদিন এখানেই আছেন, অনেকের জন্ম এদেশেই। এখানেই তাঁরা ভোট দিয়েছেন সরকার গড়তে সাহায্য করেছেন আর আজ এদেরকেই অবৈধ বলা হচ্ছে। সি এ এ ফর্ম ফিলাপ করে তবেই তাঁরা এস আই আর ফর্ম ফিলাপ করতে পারবে। তিনি বিরোধী দলনেতার উদ্দেশ্যে বলেন এই মাঠে এসেই তিনি উল্টোপাল্টা কথা বলে গেছেন। তিনি বলছেন এস আই আর এর মাধ্যমে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের দেশ থেকে বিতাড়িত করবেন। তিনি বলেন বিরোধী দলনেতা সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা বলছেন কারণ ডিসেম্বরে যখন খসরা ভিতর লিস্ট যখন বেরোবে তখন দেখা যাবে এই মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের নামই বেশি বাদ যাবে। একই ভাবে তিনি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরেরও সমালোচনা করেন। শেষে তিনি বলেন খসরা ভোটার লিষ্টে নাম না থাকলে কেউ ভয় খাবেন না। সকলে একজোট থাকুন। সকলের পাশে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই তাঁরা করে যাবেন। বিজেপি যদি মনে করে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ দখল করবে সেটা হবে না। এটা বিহার নয় এটা পশ্চিমবঙ্গ। শেষ পর্যন্ত লড়াই হবে। তাই কেউ ভয় না পেয়ে আগামী ২৬ এর নির্বাচনে এই বিজেপিকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে। পাল্লা ক্যাম্পের উদয় সংঘের মাঠে কর্মী সমর্থকদের তিল ধারণের জায়গা ছিল না। জামালপুর থেকে ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খাঁন ও বিধায়ক অলক কুমার মাঝির নেতৃত্বে বিশাল মিছিল করে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সভায় যোগদান করেন। মেহমুদ খাঁন বলেন বাংলার মাটি দূর্জয় ঘাঁটি। এখানে কোনো জারি জুরি চলবে না। ২০২৬ এর নির্বাচনে আবার বিপুল সংখ্যক আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন।


