|
---|
জাকির হোসেন সেখ, ৬মে, নতুন গতি: পঞ্চম দফার নির্বাচনে আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গের ৭টা কেন্দ্র সহ সারাদেশের ৫১টা আসনে ভোট গ্রহণ চলছে।
সবমিলিয়ে আজ গোটা দেশে ৮টা রাজ্যের ৫১টি আসনে ভোট নেওয়া চলছে। পশ্চিমবঙ্গের ৭টি আসন হলঃ- হুগলি, আরামবাগ, শ্রীরামপুর, বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া এবং উলবেড়িয়া। এই ৭টি আসনে তৃণমূল, বিজেপি, বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস সহ পশ্চিমবঙ্গে একেবারে শক্তিহীন কিছু রাজনৈতিক দল ও নির্দল মিলিয়ে মোট ৮৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আজকের নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করেছে। এমনকি কোনো কোনো বুথের বাইরে ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে। তবুও আজকের ৭টা লোকসভা কেন্দ্রের ১৩ হাজার ২৯০টা বুথের মধ্যে অনেক বুথ থেকেই গন্ডগোলের খবর আসছে।
আজকের ভোটে সেলিব্রেটি প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন তৃনমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী, প্রখ্যাত ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মতুয়া সম্প্রদায়ের গুরুমা বীণাপাণি দেবীর পুত্রবধূ মমতা বালা ঠাকুর, প্রয়াত সুলতান আহমেদের স্ত্রী সাজদা আহমেদ, অপরূপা পোদ্দার,রত্না দে নাগ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির অর্জুন সিং, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত, অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু ঠাকুর, তপন রায় ও দেবজিৎ সরকার।
বামফ্রন্টের গার্গী চট্টোপাধ্যায়, শক্তিমোহন মালিক, প্রদীপ সাহা, তীর্থঙ্কর রায়, অলকেশ ঘোষ, সুমিত্র অধিকারী ও মাকসুদা খাতুন।
জাতীয় কংগ্রেসের সৌরভ প্রসাদ, মহম্মদ আলম, জ্যোতিকুমারী দাস, প্রতুল সাহা, দেবব্রত বিশ্বাস, শুভ্রা ঘোষ ও সোমা রাণীশ্রী রায়।
শান্তি শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে ৫৭৮ কোম্পানি নিরাপত্তা বাহিনী।
তবুও ভাটপাড়ার মত কিছু কিছু এলাকা থেকে বিক্ষিপ্ত কিছু গন্ডগোলের খবর এসে পৌঁছেছে।
হুগলির কিছু বুথে ঢুকে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে প্রিসাইডিং অফিসারকে ধমক দেন লকেট চট্টাপাধ্যায়। হুগলির ধনেখালিতে বিজেপি কর্মীরা তাঁর সঙ্গে বুথে ঢুকে ইভিএম ভেঙে দেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে মুহূর্তে ফুঁসে ওঠেন এলাকার মানুষ।
ব্যারাকপুরের মোহনপুরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে মুখ ফেটেছে অর্জুন সিংয়ের।
ভোট ঘিরে উত্তপ্ত বনগাঁর হিংলিও। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে উঠেছে বোমাবাজির অভিযোগ। জখম হয়েছেন এক তৃণমূলকর্মী এবং এক পুলিসকর্মী। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর এলাকা ছেড়ে যাওয়ার পরেই বোমাবাজি শুরু করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। প্রতিবাদে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবাদ দেখান তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসে রাস্তা থেকে গাছের গুঁড়ি সরিয়ে দেয়। গ্রামে রুটমার্চ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।