|
---|
এম.কে.মোল্লা,মাজুটি : ১,জানুয়ারি, ২০২৫ । হাওড়া জেলার পাঁচলা থানার মাজুটি গ্রামে এলাকার ঐতিহ্যবাহী একমাত্র মাদ্রাসা আব্দুল মোতালিব হাই মাদ্রাসায় পালিত হল ৫০ বছর পূর্তি উৎসব। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় আজ থেকে ৫০ বছর আগে ১৯৭৩ সালে তৎকালীন জনদরদি বিধায়ক আনোয়ার আলী সাহেব এর ঐকান্তিক সহযোগিতা ও এলাকার সচেতন, বুদ্ধিজীবী মানুষজন সহ আমজনতার অদম্য, অক্লান্ত পরিশ্রম,হাড় হিম করা কষ্ট সাধ্যের ফলে। এলাকার মানুষ জন মাদ্রাসাটির স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে এক কথায় বলেন এটি ৭২ ঘন্টার মাদ্রাসা। অর্থাৎ তিন দিনের মধ্যে মাদ্রাসার রূপকাররা কেউ বাড়িতে যান নি। ওখানেই থাকা- খাওয়া। এভাবেই মাদ্রাসাটি সরকারি অনুমোদন লাভে সমর্থ হয়।
এমন ঐতিহ্যবাহী স্মৃতি- বিজড়িত মাদ্রাসাটির সদ্য- সমাপ্ত সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবকে ঘিরে এলাকার মানুষজনের মনে নানা অভিযোগ রয়েছে। প্রস্তুতির খামতি রেখে যেন- তেন প্রকারে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব পালন করা হয়।এলাকার বুদ্ধিজীবী মানুষজনের সুচিন্তিত মতামত অপেক্ষা করে শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। প্রাক্তন শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ,এলাকার বিশিষ্ট মানুষজনদের যথাযোগ্য আমন্ত্রণ ও সম্মান দেওয়া হয়নি। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর আহারের কোন ও প্রকার ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি মাদ্রাসার জন্ম লগ্ন থেকে আজ অবধি বহু চর্চিত নানা ঘটনা বহুল সম্বলিত ইতিহাস, এককথায় মাদ্রাসার দর্পণ “স্মারকসংখ্যা” পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি। জমিদাতাদের ইতিহাস পর্যন্ত বক্তব্যের মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে আলোচিত হয়নি। যাঁদের অসামান্য ঋণ পরিশোধ করা বাস্তবিক অর্থে অসম্ভব। তাঁদের দানকৃত জমিতে এই মাদ্রাসা ভবন ছাড়াও রয়েছে পোস্ট অফিস, লাইব্রেরী, মসজিদ, কবরস্থান ইত্যাদি। যাঁদের অসামান্য ঋণ কখনো ভোলবার নয়। তাঁদের উত্তর সূরীদেরও যথাযোগ্য আমন্ত্রণ ও সম্মান জানানো হয়নি। সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবকে ঘিরে এলাকার মানুষজন এমন হাজারো প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, যার সদুত্তর মাদ্রাসার সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে কার্যত নেই।
মোটের উপর সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব ছিল প্রথম দিন বিশ্ব নবী দিবস সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ঃ৩০ মিনিট এবং দ্বিতীয় দিন আগত বিশিষ্ট অতিথি বৃন্দের সম্বর্ধনা বিকেল ২টা হতে বিকেল ৪ঃ৩০ মিনিট এভাবেই অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে। এলাকার আবেগপ্রবণ মানুষজন ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোতালিব হাই মাদ্রাসার ৫০ বছর পূর্তি উৎসব এভাবে পালন হবে তা মেনে নিতে পারেনি। তাঁদের দাবি অবিলম্বে এলাকার সচেতন ,যোগ্য, বুদ্ধিজীবী মানুষজনের সহায়তায় একটি স্মারক সংখ্যা অবিলম্বে প্রকাশ করা হোক।