|
---|
জাকির হোসেন সেখ, ২৫ জুন, নতুন গতি, বারুইপুর: গত ২৩শে জুন রাতে বারুইপুরের মল্লিকপুর রেল গেট সংলগ্ন এলাকায় খুব কাছ থেকে গুলি করে সিপিআইএম কর্মী নিজাম ঊদ্দিন মণ্ডলকে খুন করার ঘটনায় অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধে পর্যন্ত বারুইপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের সাথে মল্লিকপুরের বাসিন্দারাও। থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক শমিক লাহিড়ি, আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য, রাহুল ঘোষ, ফুয়াদ হালিম প্রমুখ। এই বিক্ষোভ অবস্তানকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে বারুইপুর থানা চত্বর। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মল্লিকপুর থেকে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করে আসেন সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা। বারুইপুর থানার কাছাকাছি মিছিল চলে আসতেই পুলিশ তা আটকে দিলে উত্তেজনা চরমে ওঠে। কুলপি রোডের উপর পুলিসের ব্যারিকেড ভেঙে দেয় সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার ইন্দ্রজিত বসুর নেতৃত্বে পুলিসের অন্যান্য আধিকারিক ও র্যাফ সহ বিশাল পুলিস বাহিনি আগে থেকেই থানা চত্বরে উপস্থিত ছিল। বিক্ষোভকারিরা ঝান্ডার লাঠি উঁচিয়ে থানার ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিস তাদের বাধা দেয়। বিক্ষোভকারিরা তখন পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে। সিপিআইএমের ফুয়াদ হালিম এবং রাহুল ঘোষদের উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে দেখা যায়। অন্যদিকে পুলিসের সাথেও তাঁদের বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। তারপর থানার সামনে বসে অবরোধ শুরু করে দেয় সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা।
শমিক লাহিড়ী, বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, ফুয়াদ হালিম, রাহুল ঘোষ, মহঃ সেলিম প্রমুখ নেতারা বারুইপুর থানার আইসির কাছে ডেপুটেশান দিয়ে, দোষীদের খুব তাড়াতাড়ি গ্রেপ্তার করার আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ কারিদের জানালে
তবে অবরোধ ওঠে।