শিক্ষকের নির্মম মারে হাসপাতালে ভর্তি চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র

নবাব মল্লিক, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঘটনাটি ঘটে ঢোলাহাট থানার দিগম্বর পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম শ্রীধরপুর পার্বতীপুর ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দিগম্বর পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক সব্যসাচী গিরি মাত্র কয়েক মাস পূর্বে এই স্কুলে শিক্ষকতা করতে আসে। ইতিপূর্বে এই শিক্ষক শিক্ষকতার সঙ্গে সঙ্গে পোস্ট মাস্টার ও ছিলেন। সব্যসাচী গিরি ভাজনা বেনেপাড়া প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তবে কয়েক মাস পূর্বে পোস্ট মাস্টারের কাজ তিনি ছেড়ে দেন বলে জানা যায় তারপর থেকেই মনমরা হয়ে থাকতেন স্কুলছাত্রদের অভিযোগ প্রচন্ড রাগী এই সব্যসাচী সব সময় ছাত্র দের প্রতি খারাপ ব্যবহার করতেন। তবু এলাকার মানুষজন মেনে নিচ্ছিল কিন্তু আজ যা হলো জাতির মেরুদন্ড শিক্ষক এরকম অমানুষিক ব্যবহার করতে পারে এলাকার মানুষ বুঝে উঠতে পারছে না।

    ঘটনা সুত্রে জানা যায় পশ্চিম শ্রীধর পুর এর বাসিন্দা গোপাল তাঁতির একমাত্র ছেলে পুষ্পেন্দু চতুর্থ শ্রেণীতে ওই স্কুলে পড়াশোনা করে। আজ বেলা দুটোর সময় স্কুলের মিড ডে মিলের খাওয়া দাওয়া সেরে যখন খেলাধুলা করছিল তখন ওই শিক্ষক ওকে ডেকে কোন কথা জিজ্ঞাসা না করে ছড়ি দিয়ে প্রচন্ডভাবে মারতে থাকে। মারের ফলে ছেলেটি অজ্ঞান হয়ে স্কুলে পড়ে যায় স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা মাথায় জল দেয় একটু সুস্থ হলে মাষ্টারমশাই ওর বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। আস্তে আস্তে ছাত্রের শরীর খারাপ হতে থাকে ছাত্রীর বাবা পুষ্পেন্দু কে নিয়ে গদামথুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। ছাত্রের বাবা গোপাল তাঁতি বলেন আমার ছেলে কি অন্যায় করলো না বলেই অমানুষিক মারধোর করলো এর প্রতিকার চাই। তিনি থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানান।শিক্ষকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন একটি মুসলিম মেয়েকে এই ছেলেটি বাজে কথা বলেছি তাই মারধর করেছি। এলাকার লোকেদের প্রশ্ন যে শিক্ষক, একটি ছোট বাচ্চা ছেলে ছাত্রীকে কিছু বলা নিয়ে, তিনি মুসলিম মেয়ে কে বলেছে বলে অভিযোগ করছেন, শিক্ষক হয়ে জাত পাতের ভেদাভেদ তিনি আনছেন তিনি শিক্ষাকতা করার যোগ্য এটাই প্রশ্ন এলাকার মানুষের।