বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের উদ্যোগে সাম্প্রদায়িকতা রক্ষায় বিবেকানন্দ নজরুল ও বেগম রোকেয়ার প্রাসঙ্গিকতার আলোচনা সভা

নতুন গতি নিউজ ডেস্কঃ বাঙালি হিন্দু-মুসলিমের সংস্কৃতি অনেকাংশে সাদৃশ্যপূর্ণ। তাদের সামাজিক বন্ধনও হূদ্যতাপূর্ণ। মুসলিম-হিন্দুর মিলিত সংস্কৃতিই বাঙালি সংস্কৃতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এখানে যেমন আজানের ধ্বনিতে মানুষের ঘুম ভাঙে তেমনি সূর্যাস্তের সময় শঙ্খধ্বনিও বেজে ওঠে। এদেশের বোরকা পরিহিতা মুসলিম আর সিঁদুর পরা হিন্দু নারীরা একসঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিলেও তারা ধর্মীয় বির্তকে জড়িয়ে পড়ে না। তাছাড়া আসর বসিয়ে হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে বাউল-কীর্তন, মুশির্দি-মারফতি গান শোনে। ধর্মীয় কিছু বিধি-নিষেধ ছাড়া মৌলিক কোনো পার্থক্য নাই বাঙালি মুসলিম-হিন্দু সম্প্রদায়ের খাদ্যাভ্যাসে। কিন্তু এই হাইটেক যুগে সারা ভারতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অবিশ্বাসের বাতাবরণ। সৃষ্টি হয়েছে হিংসার, অন্যায় অত্যাচার, জাতি জাতিতে ভেদাভেদ। তাই ময়দানে কোমর বেঁধে দীর্ঘদিন ধরে সাম্প্রদায়িকতা রক্ষায় কাজ করে চলেছেন বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা থানার কালোখালি সারফিয়া হাই মাদ্রাসাতে অনুষ্ঠিত হলো ভারতবর্ষের সাম্প্রদায়িকতা রক্ষায় বিবেকানন্দ নজরুল ও বেগম রোকেয়ার প্রাসঙ্গিকতা উপর ভিত্তি করে আলোচনা সভা।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল মোট 400 জন মত ছাত্র ছাত্রী।এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাননীয় মোশারফ হোসেন মন্ডল, মাননীয়া তাসলিমা বিবি (সভাপতি ভগবানগোলা-১),

    পুলক কান্তি মহাশয় (বিডিও ভগবানগোলা ব্লক), উৎপল কুমার দাস (ভগবানগোলা থানা আধিকারিক), নজরুল ইসলাম (প্রধান শিক্ষক সারফিয়াহাই মাদ্রাসা) এছাড়া আরো বিশিষ্ট অতিথিবর্গ। বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি সামিরুল ইসলাম বলেন দেশের বর্তমান অসহিষ্ণুতার পরিবেশ বজায় করছে। ধর্মের ধর্মে বিভেদ সহ এক শ্রেণীর কুচক্রীরা ভারতের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে দিয়ে দেশে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি করার চেষ্টা করছে। এহেন অবস্থায় দেশের সর্বত্র সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে ঐক্যের ভারত গড়ার আওয়াজ তুলতে হবে প্রতিটি মানুষকে।