|
---|
লুতুব আলি, বর্ধমান, নতুন গতি : ভাতারের লরি চালক মনিরুল লটারিতে টিকিট কেটে কোটি পতি । পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের পলসোনা গ্রামের লরি চালক শেখ মনিরুল লটারিতে টিকিট কেটে কোটিপতি হলেন। দারিদ্র সীমার নিচে অবস্থান করেন মনিরুল। লরি ড্রাইভারি করে দুই মেয়ে আশরা খাতুন, নুসরা খাতুন, শ্রী বিজলী খাতুন কে নিয়ে কোনো রকমে সংসার চালান। মনিরুল মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সংসার চালাতে হিমশিম খেয়ে যান! দুই মেয়েকে একাডেমিক শিক্ষা দিতে অনেক টাকার প্রয়োজন। তবে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন তিনি দেখতেন না! মাঝেমধ্যে লটারিতে টিকিট কাটা তার শখ ছিল। ভাতারের লটারি টিকিটের দোকান মায়ের আশীর্বাদ থেকে মনিরুল ১০ সেমের ডিয়ার লটারির একটি টিকিট কাটেন। লটারিতে কোটি টাকা পেয়েছেন মনিরুল বিশ্বাস করে উঠতে পারছিলেন না। লটারি রেজাল্টের সঙ্গে বারবার মিলিয়ে মনিরুল দেখতে থাকেন সত্যি এটাই ফাস্ট প্রাইজ তো! ছুটে যান ভাতারের মায়ের আশীর্বাদ লটারি টিকিটের মালিক তুফান শেখ এর কাছে। তুফান শেখ জানিয়ে দেন শেখ মনিরুল ডিয়ার লটারিতে এক কোটি টাকা পেয়েছেন। তুফান শেখ বর্ধমানের নিরালা লটারি মালিক অরুন মজুমদারের কাছ থেকে পাইকারি টিকিট এনেছিলেন। নিরালা লটারি থেকে প্রথম পুরস্কার শেখ মনিরুল জয় লাভ করা অরুন মজুমদারও ভীষণ খুশি হয়েছেন। অরুণ মজুমদার বলেন, ইদানিংকালে অধিকাংশ প্রান্তিক মানুষেরা লটারি টিকিট কেটে কোটিপতি হচ্ছেন। নিরালা লটারিতে হামেশাই প্রথম পুরস্কার পড়ে। তুফান শেখ বলেন শেখ মনিরুল অত্যন্ত সজ্জন ও ধর্মপ্রাণ মানুষ। লটারির এই টাকায় মেয়েদের পড়াশোনার খাতে ব্যয় করা জেনে তুফান বাবু ও খুশি হয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে কোটিপতি শেখ মনিরুল বলেন, বর্তমান যুগে ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার জন্য হাজার হাজার টাকা লাগে। লটারির এই টাকায় সংসারটা সচ্ছলভাবে চলবে এবং মেয়েদের পড়াশোনার খাতে ব্যয় করা হবে। শেখ মনিরুলের স্ত্রী বিজলী খাতুন বলেন, খুব কষ্ট করে সংসার চালাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলাম। আমাদের লক্ষ্য দুই মেয়েকে সুশিক্ষিত করে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলা।