ভিলেন গরমের মোকাবিলার ১০ দাওয়াই, ঠান্ডা পানীয় বিতরণ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার।

লুতুব আলি, বর্ধমান, নতুন গতি : ভিলেন গরমের মোকাবিলার ১০ দাওয়াই, ঠান্ডা পানীয় বিতরণ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার। সমাজে ভিলেনদের দৌরাত্মে প্রাকৃতিক ও সামাজিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে! প্রকৃতিতে ভিলেন বর্ষা, ভিলেন ঠান্ডা, ভিলেন গরমে বিরুপ ফলশ্রুতিতে আটপৌরে জনজীবনে দারুন ভাবে আঘাত এনেছে। অন্যদিকে সমাজে ভিলেনদের দাপাদাপিতে আর্থ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জনজীবন ও বিপর্যস্ত! এইসব এলোমেলো ব্যাপার গুলোকে বার্তা দিতে বর্ধমানে অগ্রজ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বর্ধমান সদর প্যায়ারা নিউট্রিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে। ৪৪ থেকে ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে উপেক্ষা করে জীবনের বাজি রেখে পথচলিত মানুষদের শীতল পানীয় জলের বোতল, ও আর এস এর প্যাকেট তুলে দিচ্ছেন। এই সংস্থাটি লোক দেখানো সমাজসেবামূলক কাজ করে না নীরবে, নিভৃতে, নিরন্তর আটপৌরে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী মানুষদের প্রাত্যহিক সামাজিক পরিষদ দিয়ে থাকে। এই সংস্থা কর্ণধার প্রলয় মজুমদারের নেতৃত্বে অগণিত ছাত্রছাত্রীরা ও এই কাজে স্বেচ্ছায় অংশ নিয়েছেন। দক্ষিণ দামোদরের বাঁকুড়া মোড় ও সগরাই মোড়ে হাজার মানুষের হাতে ঠান্ডা পানীয় জলের বোতল ও ও আর এস তুলে দিলেন। বৃক্ষ নিধনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। সবুজয়ানের বার্তা দিতে সকলকে চারা গাছ বিতরণ করা হয়। সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন তমান্না শবনম, লক্ষণ দাস, প্রীতম ঘোষ, অনন্যা কর। দলুই মজুমদার জানান প্রচন্ড গরমে মানুষকে সাময়িক স্বস্তি দিতে এই সংস্থাটি ধারাবাহিকভাবে এই কাজ করে চলেছে। সংস্থার মিডিয়া অফিসার অঙ্কিতা সাম বলেন গরমে সুস্থ রাখার জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে ১০ দফা উপায় বাতলে দেওয়া হয়। উপায়গুলি হল : চা, কফি কম খান কারণ এগুলি বেশি ঘাম উৎপাদনের মাধ্যমে শরীর থেকে জল বের করে দেয়। প্রাণিজ প্রোটিন এবং ভাজা খাবার কম খান কারণ এগুলি মূত্র উৎপাদন বাড়িয়ে শরীর থেকে জল বের করে দেয়। বাড়ি থেকে বের হবার সময় জলের বোতল সঙ্গে রাখুন এবং জলের মধ্যে পুদিনা পাতা এবং অল্প জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে রাখুন এতে শীতলতার অনুভূতি হবে। ধীব্র বৃক্কের রোগ না থাকলে তিন লিটার জল পান, বাড়িতে থাকলে ৪ লিটার জল পান করতে হবে। দই, ঘোল, লস্যি খেতে পারলে ভালো হয়। শসা, তরমুজ, ফুটি খান, এবং রোজ একটু করে তিল এবং চারটি করে কুমড়োর বীজ খেলে সানস্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। সপ্তাহের তিন দিন তেতুলের টক খাওয়া ভালো, পাকা টমেটো খেলে সজীব সতেজ থাকবেন। গরমের মধ্যে দাঁড়িয়ে বা বাইরে থেকে এসেই ঠান্ডা জল পান করবেন না। দিনে দুবার সাধারণ উষ্ণতার জলে স্নান করুন এবং দুবার লেবু জল পান করুন।